কাবুল: কাবুলে একটি টিউশন সেন্টারে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ফের বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে নিরীহ পড়ুয়ারা। আত্মঘাতী ওই বোমা বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ঠিক কত তা এখনও নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই আত্মঘাতী বোমা বিস্ফেোরণে ২০জন পড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছে। তবে রাষ্ট্রপুঞ্জের দেওয়া তথ্যানুসারে, মৃতের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৪৩জন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮২জন।
সূত্রের খবর, কাবুলের দস্ত-ই-বারচিতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রী। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই হাজারা সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। আফগানিস্তানের হাজারা সম্প্রদায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত। ঐতিহাসিকভাবেই নিপীড়িত হাজারা সম্প্রদায়ের মানুষ।
আত্মঘাতী বোমা হামলায় নতুন করে হাজারা সম্প্রদায়ের নিরীহ পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনার পরে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আফগান নাগরিক মহিলারা। দস্ত-ই-বারচিতে আফগান মহিলারা দল বেঁধে স্লোগান দিয়েছেন, হাজারাদের গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। প্রতিবাদরত মহিলাদের কালো হিজাব পরিহিত অবস্থায় স্লোগান দিতে দেখা গেল।
বলাবাহুল্য, অসমসাহসে আফগান মহিলারা এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। কারণ গত বছরের অগাস্টে তালিবানরা আফগানিস্তানের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করার পরে মহিলাদের একাধিক প্রতিবাদ আন্দোলন কড়া হাতে দমন করেছে তালিবান শাসকরা। তবে আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পরে আফগান মহিলারা ফের রাস্তায় নেমে যে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন দস্ত-ই-বারচি এলাকায় মোতায়েন সশস্ত্র তালিবান সেনারা ছিল তার নীরব দর্শক।
আরও পড়ুন:Sourav Ganguly: পাড়ার পুজোয় মহাষ্টমীর অঞ্জলি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন ভিডিয়ো
এপর্যন্ত কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিরা। এই আত্মঘাতী হামলার তীব্র নিন্দা করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে দস্ত-ই-বারচিতে তিনটি বোমা বিস্ফোরণে ৮৫জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই কিশোরী। ওই হামলায় জখম হন ৩০০জন।