কলকাতা টিভি ডিজিটাল: পৃথিবীর (Earth) চৌম্বক ক্ষেত্রের (Magnetic Field) শব্দ কেমন তা কিছুদিন আগেই শুনিয়েছিল নাসা (NASA)। এবার পৃথিবীর বাইরের শব্দ, কৃষ্ণগহ্বরের (Black Hole) শব্দ শোনাল তারা। ব্ল্যাক হোল থেকে যে আলোর প্রতিধ্বনি হয় তারই শাব্দিক রূপ (Sonification) দিয়েছিল নাসা। মহাজাগতিক ঘটনার সে ধ্বনি শুনতে অসাধারণ লাগবে। পাশ্চাত্য সঙ্গীতে যাকে সাইকাডেলিক মিউজিক বলা হয়, খানিকটা যেন সেরকমই।
যে ব্ল্যাক হোলের শব্দ শোনা গেল তার নাম ভি৪০৪ সিগনি (V404 Cigney)। পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব ৭৮০০ আলোকবর্ষ (Light Year)। এরই কেন্দ্র থেকে নির্গত হওয়া আলোক প্রতিধ্বনিকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে শব্দতরঙ্গে (Sound Wave) পরিণত করেছে নাসা (NASA)।
অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম (Instagram) অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছোট্ট ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা লিখেছে, ভি৪০৪ সিগনি নামের ব্ল্যাক হোলের (Black Hole) আলোক প্রতিধ্বনির (Light Echos) শব্দের রূপ দেওয়া হল। ৭৮০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত ব্ল্যাক হোলটির ভর সূর্যের (Sun) পাঁচ থেকে ১০ গুণ। তাকে প্রদক্ষিণ করতে থাকা এক তারার পদার্থ টেনে নিচ্ছে সে।
View this post on Instagram
নাসা এও জানিয়েছে, সাধারণত নিজের অভ্যন্তর থেকে আলোকেও বেরতে দেয় না ব্ল্যাক হোল। যদিও তার পারিপার্শ্বিক পদার্থ থেকে বিপুল পরিমাণ তড়িত-চুম্বকীয় তেজস্ক্রিয়তার (Radiation) সৃষ্টি হতে পারে। তার মধ্যেই থাকে আলোক তরঙ্গ যা গ্যাসের মেঘ এবং মহাকাশের ধূলিকণায় ধাক্কা লেগে ছিটকে বেরিয়ে আসে এবং ছড়িয়ে পড়ে। অনেকটা যেমন কুয়াশার মধ্যে দিয়ে গাড়ির হেডলাইটের আলো ছড়ায়। এই আলোক তরঙ্গ বা প্রতিধ্বনি ধরা পড়েছিল চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরিতে। তারই শাব্দিক এবং সাঙ্গীতিক রূপ দেওয়া হয়েছে।