বেলজিয়াম: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) বেলারুশ (Belarus) পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করার যে সিদ্ধান্তকে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে ন্যাটো। মার্কিন নেতৃত্বধীন সামরিক জোট ন্যাটো (NATO) পুতিনের এই সিধান্তকে বিপজ্জনক (Dangerous) ও দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে মেল (Email) জানিয়েছেন, রাশিয়ার (Russia) পারমাণবিক অস্ত্র বেলারুশ মোতায়েন করার জন্য বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। ন্যাটো বলছে, তারা পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। তবে রাশিয়ার পারমাণবিক অবস্থানের কোনও পরিবর্তন তিনি দেখছেন না। সেই কারণেই ন্যাটোও তার পারমাণবিক কৌশল এখনই পরিবর্তন আনার প্রয়োজন মনে করছে না। এদিকে আবার ন্যাটোর পারমাণবিক অবস্থানের বিষয়েররাশিয়ার দাবি পুরোপুরি বিভ্রান্ত্রিকর বলে দাবি করছে ন্যাটো।
এর আগে শনিবার ২৫ মার্চ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানান, তাঁর দেশ বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়ন করবে। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, আগামী পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে কৌশলগত অস্ত্র রাখার এই স্থাপনার নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তবে মস্কো পরমাণু অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ বেলারুশর হাতে দেবে না। মস্কো শুধু নিজের অস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করবে।
পুতিনের এমন ঘোষণার পর ইউক্রেনের তরফে জরুরি বৈঠক বসার জন্য জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্ত পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কিয়েভ দাবি করছে, রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়ন করা এনটিপি চুক্তির লঙ্ঘন। তবে এসমস্ত অভিযোগকে উড়িয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকা যেভাবে ইউরোপের দেশ গুলিতে তার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়ন করছে বেলারুশে ঠিক সেই ভাবেই কাজ করবে।
ইউক্রেন ছাড়াও ন্যাটোভুক্ত তিনটি দেশ পোল্যান্ড, লিথুনিয়া ও লাটভিয়ার সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বেলারুশর। ৯০-এর দশকের পরে এই প্রথম কোনও মিত্র দেশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে চলেছে রাশিয়া