কেপটাউন: চাঞ্চল্যকর বক্তব্য দক্ষিণ আফ্রিকার এক অন্যতম শীর্ষ রাজনৈতিক নেতার । রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সারা বিশ্ব উদ্বিগ্ন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। পশ্চিমী দেশগুলি ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায়্য করছে। সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার নেতা জুলিয়াস মালেমার (Julius Malema) বক্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে বিশ্বে। তিনি বলেছেন, আমরা রাশিয়াকে অস্ত্র সহয়োগিতা করব।
ইকনমিক ফ্রিডম ফাইটারস (Economic Freedom Fighters )। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সেই দলের সভাপতি জুলিয়াস বৃহস্পতিবার বলেছে, রাশিয়াকে তারা অস্ত্র জোগান দেবে (supply weapons to Russia)। কারণ মস্কো সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে।
জোহানেসবার্গে বিবিসিকে দেওয়া এক ইন্টারভিউতে জুলিয়াস মালেমা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা রাশিয়ার জোটসঙ্গী। তিনি স্পষ্টতই বলেন, শুধুই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। তার বাইরে গিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে জোট গড়ব। প্রয়োজনে অস্ত্রের জোগান দেব। তারা এটাও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আওতা থেকে তারাও নাম প্রত্যাহার করে নিতে চাইবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আগামী মাসে কেপটাউনে ব্রিকস সম্মেলনে যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যোগদান করে তাকে যেন কোনওভাবে গ্রেফতার করা না হয় সেই বিষয়ে জোরালো বক্তব্য পেশ করেন তিনি। মালেমা যাই বলুক সাম্প্রতিক একটি অস্ত্র সংক্রান্ত বিতর্কে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে পাঠানো অস্ত্র বোঝাই জাহাজ পাঠানোর কথা অস্বীকার করা হয়েছে। ফলে মালেমা অবশ্য যাই বলুক সেই বিষয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বক্তব্য পেশ করা হয়নি।
আরও পড়ুনঃ Sara Ali Khan | In Kolkatat | সারার কৌশলী উত্তর, 'আমি ওনার মন্তব্যকে সম্মান জানাই..'
গত বছর ২৪ ফেব্রুয়ারি, প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনের (Ukraine) বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন (Military Aggression) শুরু করেছিল রাশিয়া (Russia)। ১৫ মাসেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত, যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। ইউক্রেন এখনও রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। এই যুদ্ধে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ইউক্রেনের। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (United States of America) জানিয়েছে, বিগত পাঁচ মাসে রাশিয়ার ২০,০০০-এর বেশি সেনা (Troops) নিহত (Deceased) হয়েছেন, ৮০ হাজারেরও বেশি সেনা আহত (Injured)। আমেরিকার গোয়েন্দা দফতর (US Intelligence) তরফে মস্কোর (Moscow) ক্ষয়ক্ষতির এই আনুমানিক পরিসংখ্যান জানানো হয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ফলে রাশিয়া ইতিমধ্যেই ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন।
শেয়ার করুন