ঢাকা: ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি বাংলাদেশে (Bangladesh Protest)। রক্তক্ষয়ী ছাত্র আন্দোলনের পর সুপ্রিম কোর্টে জয় পেয়েছে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা। রবিবার শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায়কে খারিজ করে দিয়েছে। এবার থেকে সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগই হবে মেধার ভিত্তিতে। েই রায়ের পর নতুন করে ফের অশান্তি ছড়িয়েছে। বিক্ষোভ কমেনি। তাদের বাকি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের (Bangladesh) ছাত্রসমাজ প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে। তাদের দাবি এই আন্দোলনে বিরোধী নেতা সহ জেলবন্দি পড়ুয়াদের তাদের অবিলম্ব মুক্তি দিতে হবে। এদিকে, এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৫০০-রও বেশি ভারতীয় বাংলাদেশ (Indian-students-return-from-bangladesh) থেকে ফিরে এসেছেন।
বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৪৫০০-রও বেশি ভারতীয় পড়ুয়া বাংলাদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছেন। বাংলাদেশে বর্তমানে আনুমানিক ১৫ হাজার ভারতীয় রয়েছেন, যার মধ্যে ৮৫০০ জন পড়ুয়া। শুধু ভারতীয় নয়, নেপাল, ভুটান, মলদ্বীপের পড়ুয়ারাও অশান্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসছেন। এই আবহে গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে কলকাতা ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস। রেলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, সোমবারও মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে। বাতিল হওয়া ট্রেনের ভাড়ার অর্থ সম্পূর্ণ ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের জয়, ৩০ থেকে সংরক্ষণ নেমে ৫ শতাংশ
কোটা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হন। সেই ছাত্র আন্দোলনকে দমন করতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। পুলিশের সঙ্গে সেনা নামানো হয় ঢাকার রাস্তায়। সেনা ট্যাঙ্কও টহল দিচ্ছে। গত পাঁচদিনে কোটা বিরোধী আন্দোলনে হিংসার জেরে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৭৪ জনের। সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যত আন্দোলনকারীদের পক্ষেই ছিল। তবে এরপরও আন্দোলন ও হিংসা জারি থাকায় আপাতত কার্ফু প্রত্যাহারের পথে হাঁটছে না হাসিনা সরকার।
বিরোধী নেতা সহ পড়ুয়াদের মুক্ত না করলে বিক্ষোভ জারি রাখার হুশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাশাপাশি
কারফিউ তুলে বুধবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সচল করার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা। তবে সোমবার নতুন করে বিক্ষোভের কোনো খবর এখনও পর্যন্ত আসেনি। সোমবার বাংলাদেশি সময় দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানান সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে রবিবার মাত্র ২ ঘণ্টার জন্যে কার্ফু শিথিল হয়েছিল। সেই সময় আজ কিছুটা বাড়ানো হল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরই জরুরি বৈঠকে হাসিনা সরকার। রবিবার বাংলাদেশে জরুরি বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। নিরাপত্তা উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সেনা বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসারের সঙ্গে বৈঠক। দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
দেখুন ভিডিও