কলকাতা: রাশিয়ার বন্ধু দেশ বেলারুশ (Belarus)। এই দেশটিতে ১৯৯৪ সাল থেকে শাসন করে চলেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো (Alexander Lukashenko)। সমস্ত রকম বিরোধী স্বরকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন তিনি, শয়ে শয়ে সমালোচক এবং প্রতিবাদীদের কারাবন্দি করেছেন। এহেন বেলারুশেই আগামী ২৬ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে চলেছে।
বেলারুশের নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে তবে বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন নয়, প্রহসন হতে চলেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বহুদিন ধরেই এনেছেন সমালোচকরা, এই নির্বাচনের প্রাক্কালেও তাই চলছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে কারচুপির প্রবল অভিযোগ উঠেছিল, রাজধানী মিনস্কের (Minsk) রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ হয়েছিল। এর ফলে গ্রেফতার হয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ, পুলিশ এবং নিরাপত্তা এজেন্সির অত্যাচারের ভয়ে দেশ ছেড়ে অনেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বললেন কমলা হ্যারিস
২০২০ সালে লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সোয়েতলানা তিখানভস্কায়া (Svetlana Tikhanovskaya)। তিনি সে সময় দাবি করেন, নির্বাচনে তিনিই জিতেছেন কিন্তু ভোটগণনায় কারচুপি করে তাঁকে হারানো হয়েছে। ফলপ্রকাশের পরে দেশ ছেড়ে চলেও যেতে হয়েছিল। সেই সোয়েতলানা বুধবার বলেছেন, আসন্ন নির্বাচন এক প্রহসন, ভয়ের আবহে করানো হবে। কোনও বিকল্প প্রার্থী এবং পর্যবেক্ষককে ভোটগণায় উপস্থিত থাকতেই দেওয়া হবে না। বেলারুশের নাগরিক এবং আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে এই নির্বাচনকে পরিহার করতে বলেছেন সোয়েতলানা।
সোয়েতলানার স্বামীও বিরোধী দলের এক বড় নেতা, ২০২০-র নির্বাচনে তিনি লড়বেন জানানোর কিছুদিন পরেই তাঁকে কারাবন্দি করা হয়। ভিয়াসনা নামক এক মানবাধিকার সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেলারুশে ১৩০০ রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন।
দেখুন অন্য খবর: