কলকাতা: চাঁদের (Moon) মাটির নীচে গুহা খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ৫৫ বছর আগে নিল আর্মস্ট্রং (Neil Armstrong) এবং এডুইন ‘বাজ’ অলড্রিন (Buzz Aldrin) যেখানে নেমেছিলেন, তার কাছেই রয়েছে সেই গুহা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এরকম গুহা আরও বহু আছে এবং এইসব গুহা ভবিষ্যতের মহাকাশচারীদের ‘বাড়ি’ হয়ে উঠতে পারে।
ইতালিয়ান বিজ্ঞানীদের এক দল জানিয়েছে, বেশ বড়সড় গুহা থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যেখানে চাঁদের সবথেকে গভীর গর্ত হয়ে যাওয়া যায়। এই গুহা রয়েছে ‘সি অফ ট্রানকুইলিটি’-তে। এখান থেকে ৪০০ কিমি (২৫০ মাইল) দূরেই ছিল অ্যাপোলো ১১-এর ল্যান্ডিং সাইট যেখানে প্রথমবার মানুষের পা পড়েছিল।
আরও পড়ুন: কৃত্রিম মঙ্গলগ্রহে ৩৭৮ দিন কাটিয়ে এলেন চারজন!
ত্রেন্তো বিশ্ববিদ্যালয়ের (Trento University) গবেষক লিওনার্দো ক্যারের এবং লোরেঞ্জো ব্রুজোন জানিয়েছেন, চাঁদের গুহা প্রায় ৫০ বছর ধরে রহস্য ছিল। অবশেষে তার উপস্থিতি প্রমাণ করা চিত্তাকর্ষক বিষয়। ‘ন্যাচার অ্যাস্ট্রোনমি’ জার্নালে গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁরা নাসার লুনার রিকনেইসান্স অরবিটারের রেডার থেকে তথ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এবং তা থেকে প্রাপ্ত তথ্য পৃথিবীর লাভা টিউবের (Lava Tubes) সঙ্গে তুলনা করেছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন রেডারের তথ্য থেকে গর্তের গোড়ার অংশের উন্মোচন করেছে। তারা হিসেব করে দেখেছেন, গুহাটি ৪০ চওড়া এবং কয়েকশো ফুট লম্বা। এই ধরনের বেশিরভাগ গর্ত চাঁদের প্রাচীন লাভা সমতলে অবস্থিত। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আরও কিছু গর্ত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেও থাকতে পারে। এ দশকের শেষের দিকে ওই দিকেই মহাকাশচারীদের অবতরণ করানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। চিরকালীন অন্ধকারে থাকা জ্বালামুখে জলীয় বরফ রয়েছে বলে বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, যা পানীয় জল এবং জ্বালানির জোগান দিতে পারে।
দেখুন অন্য খবর: