ওয়েব ডেস্ক: একেই বলে প্রকৃতির উল্টোসুর। যেখানে ভয়াবহ শীতে থাকা দায়, সেখানেই এখন গরমে জ্বলছে মানুষ। দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে ইউরোপের তাপপ্রবাহ (Europe Heatwave)। জ্বালাপোড়া গরমে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন আটজন। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পারমাণবিক চুল্লি (Nuclear Reactor Shut)। দাবানলে (Wild Fire) জ্বলছে বনাঞ্চল। স্কুলে স্কুলে পড়েছে গরমের ছুটি। শীতের ভয়াল রূপ দেখলেও, এরকম ভয়ঙ্কর গ্রীষ্ম হয়তো এর আগে দেখেনি ইউরোপ।
গত সপ্তাহ থেকেই পারদ চড়তে শুরু করে ইউরোপের একাধিক দেশে। ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল, গ্রিস, তুরস্ক— প্রায় সব জায়গাতেই রেকর্ড গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এই পরিস্থিতি থেকে রাহেই পাননি সিংহভাগ ইউরোপবাসী। গত ২৪ ঘন্টায় স্পেনে অস্বস্তি কিছুটা কমলেও গ্রিস এবং তুরস্কে অত্যধিক গরমের কারণে শুরু হয়েছে দাবানল। সেই কারণে জঙ্গল লাগোয়া বসতি এলাকার পরিস্থিতি আরও অসহ্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্যারিসে সাইকেল চুরির ধুম! লাটে উঠছে সব ‘জয়রাইড’ ব্যবসা
যদি আমরা ফ্রান্সের দিকে তাকাই, সেখানেও গরমে নাজেহাল মানুষজন। ইতিমধ্যে তাপপ্রবাহের দাপটে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেকেই। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আইফেল টাওয়ার ভ্রমণ। এদিকে জার্মানি এবং ইতালিতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁইছুঁই। ইতিমধ্যে মিলান, রোম সহ মোট ১৮টি শহরে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা। ইতিমধ্যে প্রবল গরমে স্পেনে চার জন, ফ্রান্সে দু’জন এবং ইতালিতে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
ইউরোপের বাদবাকি দেশেও গরমে নাজেহাল অবস্থা। অস্ট্রিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, সার্বিয়া, স্লোভেনিয়া সহ একাধিক দেশে ইতিমধ্যে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। এদিকে প্রবল গরমের কারণে ফ্রান্সের গল্ফেক পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দু’টি চুল্লির মধ্যে একটি এবং সুইৎজারল্যান্ডের বেজনাও পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রেও দু’টি চুল্লি বন্ধ রাখা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: