কলকাতা: শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলের (Bangladesh Coast) মাটি ছুঁলো ঘূর্ণিঝড় মিধিলি (Cyclone Midhili)। আগামী ৩ ঘণ্টা ধরে চলবে ল্যান্ডফল, জানালেন আবহাওয়াবিদরা। তবে হাওয়া অফিস বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের থেকে বাংলার আকাশে দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। তবে উত্তর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, এই ৬ জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে। কালই কমবে রাতের তাপমাত্রা।
বাংলাদেশের খেপুপাড়া (Bangladesh Coast Khepupara ) সংলগ্ন এলাকায় স্থলভাগে প্রবেশ করল ঘূর্ণিঝড় মিধিলি। আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৫ কিলোমিটার। আগামী দু-তিন ঘণ্টার মধ্যে ল্যান্ডফল শেষ হবে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষয়খতি না হয় তাই আগে থেকে খেপুপাড়া এবং তৎসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। মিধিলির প্রভাবে ইতিমধ্যেই খেপুপাড়া (Bangladesh Coast Khepupara) এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ৬৫-৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। তবে আগামী তিন ঘণ্টার মধ্যেই তাণ্ডব কমাবে মিধিলি। স্থলভাগ দিয়ে যাওয়ার সময় ক্রমশই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড়। শনিবার ভোরে মিধিলি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে।
আরও পড়ুন: এপ্রিলেই দীঘার জগন্নাথ মন্দির শেষ হবে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই মিধিলির হালকা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গেও। সকাল থেকে কলকাতার আকাশ মেঘে ঢাকা পড়েছে। কলকাতা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছিল। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে শুক্রবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলা যেমন হুগলি, নদিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে শনিবার পর্যন্ত। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে থাকা মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও অন্য খবর দেখুন