কলকাতা: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশ (Bangladesh) ছেড়েছেন। সেখানে মুহাম্মদ ইউনুসের (Muhammad Yunus) নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তিনি শেখ হাসিনার দীর্ঘ শাসনের পরিবর্তনে দেশে দ্বিতীয় স্বাধীনতা এসেছে বলে জানিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সম্পর্ক নিয়ে চর্চা চলছে। তাতে উঠে আসছে, তাঁদের বিবাদ অনেক পুরনো।
ঠিক কীরকম সম্পর্ক ছিল দুজনের একঝলক দেখে নেওয়া যাক। ১. গ্রামীণ ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠা করে স্বল্পসঞ্চয় প্রকল্পে গরিব মানুষকে ঋণ দেওয়ার ব্যাবস্থা করেন ইউনুস। ২০০৬ সালে এই জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি। তবে হাসিনা সরকার কখনও ইউনুসকে ভালো চোখে দেখেনি। তাঁকে গরিবের রক্ত শোষণকারী বলে চিহ্নিত করে।
২. পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময়ও ইউনুসকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন হাসিনা। ইউনুসের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন তিনি। হাসিনার অভিযোগ, পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাঙ্ক অর্থ বরাদ্দ করলেও ইউনুসের প্ররোচনায় তা আটকে যায়।
৩. হাসিনা সরকার অভিযোগ তুলেছিল, সরকারি অনুমোদন ছাড়া বইয়ের রয়্যালটির টাকা বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগ উঠেছিল ইউনুসের বিরুদ্ধে। ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের হয়। তাতে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন মহাসচিব বান কি মুন চিঠি লিখে প্রতিবাদ জানান।
৪. ইউনুস বলেন, শেখ হাসিনা মনে করেন, আমি দেশের সর্বোচ্চ সন্ত্রাসবাদী। আমাকে বলেন, আমি সুদখোর, ঘুষখোর। সম্পর্কে কেন ফাটল তা বলতে পারব না।
আরও পড়ুন: আরজি করের বিক্ষোভের ঢেউ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে
আরও খবর দেখুন