ভারতে তেল রফতানির দৌড়ে এবার রাশিয়াকে টপকে গেল সৌদি আরব। অবশ্য তেল রফতানিকারীর তালিকায় সর্বোচ্চ স্থানটি এখনও ইরাকের দখলেই রয়েছে। গোটা বিশ্বে তেল আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে তৃতিয় স্থানে রয়েছে ভারত। দিনে ৮ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল-এরও বেশি অপরিশোধিত তেল সৌদি আরব থেকে আমদানি করছে ভারত। শতাংশের বিচারে যা গত মাসের তুলনায় ৪.৮ শতাংশ বেশি।
আর রাশিযা থেকে নেওয়া অপরিশোধিত তেলের পরিমাণ দিনে ৮ লাখ ৫৫ হাজার ব্যারেল-এর কিছু বেশি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী পুতিনের দেশ থেকে তেল আমদানি কমেছে আগের তুলনায় ২.৪ শতাংশ। অবশ্য সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়লেও অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিস বা ওপেক-এর সদস্যভুক্ত দেশগুলি থেকে তেলের রফতানি কিন্তু বাড়েনি।
আর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চীনের পরেই রাশিয়ার থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ তেল আমদানি করেছে ভারত। অবশ্য পরিস্থিতিটা জুন মাসেও এরকম ছিল না। কারণ নানাভাবে মস্কো অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমশই বাড়ানোয় আমদানি কমাতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি। যদিও তেলের আমদানি কমালেও ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা একইরকম রেখেছে সাউথ ব্লক। আর তার ফলও মিলেছে।
ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে যখন ইউরোপের অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারির পাশাপাশি তেল আমদানি বন্ধ রাখল তখনও নয়াদিল্লি আর্থিক কারণে পরিমান কমালেও পুতিনের দেশ থেকে তেল আমদানি কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ করেনি। আবার ভারতের সেই অবস্থান দেখে পরবর্তীতে তেলের দাম বেশ খানিকটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় রাশিয়া। আর এই আবহে শুক্রবার সমরখন্দে মোদী-পুতিন বৈঠক দেশের জন্য নতুন কোনও সুখবর আনতে পারে কি না সেদিকেই আপাতত নজর রাখবেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশষজ্ঞরা।