কলকাতা: ভারত-কানাডা সম্পর্ক নতুন করে তলানিতে ঠেকল। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর (Justin Trudeau) দাবি, তাঁর দেশে ভারত সরকারের (Indian Government) অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে। কানাডার নাগরিক খলিস্তানি জঙ্গি হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতকে ‘দোষী’ সাব্যস্ত করছে ট্রুডোর সরকার। এমনকী পশ্চিমি দুনিয়ার সংবাদমাধ্যমের সামনে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং এনএসএ-র (NSA) নামোল্লেখ করছেন কানাডিয়ান সরকারি আধিকারিকরা। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পরিস্থিতি এমন যে ভারত-কানাডা দ্বিপাক্ষিক সমস্ত যোগসূত্রের ইতি ঘটতে পারে।
ট্রুডোর বিবৃতির আগে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের (RCMP) কমিশনার মাইক ডুহেম দাবি করেন, কানাডায় অপরাধমূলক কাজে জড়িত রয়েছে ভারতের ‘এজেন্ট’ এবং এখনও সেই কাজ তারা চালিয়ে যাচ্ছে যা তাদের নাগরিকদের সুরক্ষার পরিপন্থী। গত বছর খলিস্তানি জঙ্গির হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চালিয়ে ভারত-যোগের স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন কমিশনার। তবে ট্রুডোর সরকারের কোনও আধিকারিক সেই প্রমাণ পেশ করতে পারেননি। কানাডার নাগরিক খলিস্তানি জঙ্গি এবং গ্যাংস্টারদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার, তা নিয়েও নিশ্চুপ থেকেছেন ট্রুডো।
আরও পড়ুন: ইউরোপা কি বাসযোগ্য? সন্ধানে বেরল নাসার মহাকাশযান
আরসিএমপি-র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ব্রিজিট গভিন জানিয়েছেন, তাঁদের দেশের দক্ষিণ এশীয় নাগরিকদের নিশানা করা হচ্ছে, তবে বিশেষভাবে নিশানায় আছেন খলিস্তানপন্থীরা। গভিন নাম নিয়ে নিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের, তাঁর দাবি কানাডায় বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে ভারতের এজেন্টদের। প্রসঙ্গত, ভারতে এনসিপি বিধায়ক বাবা সিদ্দিকির হত্যায় নতুন করে আলোচনায় এসেছে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম।
কানাডার বিদেশমন্ত্রী মেলানি জলি ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি। এদিকে হাত গুটিয়ে বসে নেই নয়াদিল্লিও। ওটাওয়া থেকে কিছু কূটনৈতিক আধিকারিকদের সরিয়ে নেওয়ার পর নয়াদিল্লির ছয় কানাডিয়ান আধিকারিককে বরখাস্ত করেছে। তাঁদের পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: