ইসলামাবাদ: জঙ্গি হানার আতঙ্ক এবং নির্বাচনী দুর্নীতির অভিযোগকে সঙ্গী করেই পাকিস্তানে (Pakistan Elections 2024) ভোটগ্রহণ শুরু হল। রাজনৈতিক ভেদাভেদের জেরে এবার জোটের সরকার গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। হিংসার আশঙ্কায় দেশজুড়ে মোবাইল ফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইমরান খানের (Imran Khan) দল পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (PTI) এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে। নির্বাচন কতটা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে বালুচিস্তানে জোড়া বিস্ফোরণ, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ২৮
সবমিলিয়ে ১৮,০০০ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংসদের নিম্নকক্ষ অর্থাৎ জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে (National Assembly) আসন পাওয়ার জন্য লড়ছে ৪৪টি রাজনৈতিক দল। ২৬৬টি আসনের সঙ্গে রয়েছে মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত ৭০টি আসন। দেশের ৯০,০০০ পোলিং স্টেশনে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫.৩০টা পর্যন্ত। এদিকে একটি জাতীয় এবং তিনটি প্রদেশ কেন্দ্রে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ফলাফল বেরনোর পর নির্বাচিত নতুন সংসদ প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। কোনও একটা দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায় তবে অ্যাসেম্বলি আসন যাদের সর্বোচ্চ তারা জোটের সরকার গঠন করতে পারবে। তবে ওয়াঘার ওপারে যে সরকারই আসুক, প্রবল ঝড়ের সম্মুখীন হতে হবে তাদের। অর্থনৈতিক সঙ্কট, অবৈধ অনুপ্রবেশ তো আছেই, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও কম নেই।
দেখুন অন্য খবর: