লিভিভ: ভাঙবেন, তবু মচকাবেন না! দিন দুই আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির বলেছিলেন, তিনি আপসে প্রস্তুত। ধ্বস্ত ইউক্রেনের বিধ্বস্ত ছবি (Russia-Ukraine peace talks) জেলেনস্কিকে বাধ্য করেছিল, নমনীয় হতে। একমাস হয়ে গেল যুদ্ধের। মারিউপোল, খারকিভ, লিভিভ… শুধুই ধ্বংসের ছবি। রাজধানী কিভে রবিবারও হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এমত অস্থির পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ দিন ঘোষণা করলেন, দেশের ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতা’ই (Territorial Integrity of Ukraine) প্রাধান্য পাবে। বললেন তিনি শান্তি আলোচনার প্রেক্ষাপটে।
যুদ্ধ চলাকালীন বিগত একমাসে বার তিনেক মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন (Ukraine and Russia)। আলোচনার টেবিলে রফাসূত্র বেরোয়নি। দু’পক্ষের কেউ-ই অবস্থান বদলে রাজি হয়নি। ফলে, বৈঠকও নিষ্ফলা। তার পরেও আরও একবার সমাধানের রাস্তা খুঁজতে বৈঠকে বসতে চলেছেন দু-দেশের প্রতিনিধিরা।
With peace talks between Russia and Ukraine set to take place in Turkey this week, Ukrainian President Volodymyr Zelenskiy has insisted on the territorial integrity of his country after earlier suggesting he was ready for a compromise https://t.co/nabcsQxVU0 pic.twitter.com/3TNU31T9m3
— Reuters (@Reuters) March 28, 2022
জেলেনস্কি (Volodymyr Zelenskiy) রবিবার এক ভিডিয়ো বার্তায় জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহেই তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি বৈঠক (Russia-Ukraine peace talks) রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে হতে চলা এই বৈঠকে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতাই যে গুরুত্ব পাবে, তা তিনি স্পষ্ট করে দেন।
এর আগে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছিলেন, পূর্ব ডনবাস অঞ্চলের স্থিতি নিয়ে তাঁর সরকার নিরপেক্ষ অবস্থান নেবে। শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবেই ইউক্রেন এই আপস করতে চলেছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পূর্বের এই অবস্থান থেকে সরে আসেন জেলেনস্কি।
এ দিকে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান কিরিলো বুদানভ দাবি করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট (Vladimir Putin) ভ্লাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দখল নিতে চাইছেন। গোয়েন্দা প্রধানের কথা অনুযায়ী, ইউক্রেনের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো বিভাজন করতে চাইছেন পুতিন। রাশিয়াকে প্রতিহত করতে পশ্চিমি দেশগুলোর কাছ থেকে আরও ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র চেয়ে তিনি আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Imran Khan: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ পাকিস্তানের সংসদে
সূত্রের খবর, রবিবারই তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ফোন করেছিলেন পুতিন। ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি বৈঠক যাতে ইস্তাম্বুলে করা যায়, তার জন্য ফোন করেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। যুদ্ধবিরতি ও মানবিক কারণেই সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে তুরস্ক। তবে, বৈঠকের দিন এখনও ঘোষণা হয়নি।