মস্কো: আন্তর্জাতিক মহল সবরকম চেষ্টা করলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণ নেই। বৃহস্পতিবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এই মানবতার সঙ্কট কাটাতে হবে। এর ঠিক পরের দিনই ইউক্রেনকে কড়া হামলার হুমকি দিল রাশিয়া। রুশ সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুর্স্কে ইউক্রেনের আক্রমণের কড়া জবাব দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের। শুক্রবার এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে আমেরিকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনোভ ইউক্রেন ও মার্কিন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি আন্তরিকভাবে জানাচ্ছি, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুর্স্কে হামলার কঠোর জবাব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কুর্স্কে হামলার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। ঘটনায় এ বিষয়ে ইউক্রেনকে সতর্ক করল আমেরিকা। এর জেরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিভে। ইতিমধ্যে কুর্স্কে ইউক্রেনের হামলাকে বড় মাপের সাফল্য বলে প্রচারে নেমেছে ইউক্রেন এবং আমেরিকা-সহ পশ্চিমের একাধিক দেশ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ অগাস্ট কিভ বাহিনী কুর্স্কে আক্রমণ চালায়। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত পরিস্থিতি কুর্স্কে। ইতিমধ্যে ওই এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং রাশিয়া সরকার সেখানে ফেডারেল পর্যায়ের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ডেনিস মান্টুরভ জানান, সীমান্তের কাছাকাছি ওই এলাকা থেকে এক লক্ষের বেশি মানুষকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে কড়া নজরদারি পুলিশের
কুর্স্কের অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর আলেক্সি স্মিরনভ বলেন, এই অঞ্চলের সীমান্ত বরাবর প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ তাঁদের বাড়ি ছেড়েছেন। এঁদের জন্য রাশিয়ার ২৯টি এলাকায় অস্থায়ী আবাসন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এদিকে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, কুর্স্কে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেন ৪ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি সেনা ও ৬৮টি ট্যাঙ্ক হারিয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: