কলকাতা: বছর দুয়েক আগে ভূমধ্যসাগরের উপর গর্জন করে উঠেছিল ইজরায়েলের (Israel) এক ডজনের বেশি যুদ্ধবিমান। বিশেষ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল এই মহড়া, লক্ষ্য ছিল ইরানের (Iran) পরমাণু কেন্দ্র। দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি উড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়েছিল ইজরায়েলি সেনা। আমেরিকার সাহায্য ছাড়াই এই হামলা চালাতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইজরায়েল।
ইজরায়েল বরাবর দাবি করে এসেছে, গোপনে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে ইরান। কিন্তু ইরান তা স্বীকার করেনি, তবু দেশটির উপর বিভিন্ন সময়ে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করে এসেছে আমেরিকা। তবে সম্প্রতি ইজরায়েল ভূখণ্ডে হামলা করেছে ইরানের ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র। এরপরেই ফের সে দেশের পারমাণবিক কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তাহলে কি পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে ইরান?
আরও পড়ুন: ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তোপ এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্টের
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) আপত্তি সত্ত্বেও বার বার হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে ইরানের পরমাণু ঘাঁটি, তেলের খনির কথা বলছে ইজরায়েল। আমেরিকান সংবাদমাধ্যমের দাবি, ২২ বছর ধরে এই সুযোগেরই অপেক্ষায় ছিল তারা। কিন্তু বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর এই পরিকল্পনা নিয়ে ভয়াবহ চাপে আমেরিকা সহ পশ্চিমি দুনিয়া। কারণ ইজরায়েলের এই হামলার পর মুখ থুবড়ে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে নিরাপত্তা। কারণ হামলা হলে বসে থাকবে না ইরানও। ইজরায়েল সহ পশ্চিমি দেশগুলিতে পাল্টা আক্রমণ করবে তারা।
এদিকে গত শনিবার ইরান এবং ইজরায়েলে অনুভূত হয়েছে দুটি অল্প তীব্রতার ভূমিকম্প। এতে নতুন করে জল্পনা ছড়িয়েছে। ইজরায়েলের দাবি, ওটা ভূমিকম্প নয়, মাটির নীচে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে ইরান। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছে ইরান। আলি খামিনির প্রতিনিধি বলেছেন, প্রয়োজন হলে আমরা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করব।
দেখুন অন্য খবর: