ওয়েব ডেস্ক: কলিকাতা চলিয়াছে নড়িতে নড়িতে। কলকাতা নড়ুক বা নাই নড়ুক বাড়িগুলি নড়ছে। একের পর এক গগনচুম্বী অট্টালিকা হেলে পড়ছে। সম্প্রতি বাঘাযতীন থেকে নারায়ণপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি হেলে পরার ঘটনা ঘটেছে। সৌভাগ্যবশত অল্পের উপর রক্ষা হয়েছে। প্রাণহানি হয়নি। কিন্তু এই অশনি সঙ্কেত কলকাতাবাসীর (Kolkata) মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। অনেকে বহু কষ্টে একটি বাড়ি করেন। সেখানেই মাথার উপর ছাদের সুরক্ষা থাকে। কিন্তু সেই বাড়ি কখনও হেলে ভেঙে পড়ার উপক্রম হবে ভেবেই অনেকের হারটবিট বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, শাসকদলের মদতে বেআইনি নির্মাণের জেরেই এই হেলে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
শহরে একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনা সামনে এসেছে। সেই বহুতলগুলি বেআইনি এবং টাকার বিনিময়ে প্ল্যান পাশ করেছে পুরসভা। এমনই অভিযোগ তুলে বুধবার কলকাতা পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখাল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। ডেপুটেশন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় নিউ মার্কেট চত্বর। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করে বলে অভিযোগ। তাঁরই প্রতিবাদে কংগ্রেস কর্মীরা এসএন ব্যানার্জি রোড অবরোধ করে। এর জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধর্মতলাগামী বাস চলাচল ব্যাহত হয়। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল এসে পৌঁছয় কলকাতা পুরসভার সামনে। সেখান থেকেই পুরসভার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই মর্মে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকজন প্রতিনিধি পুরসভায় ডেপুটেশন জমা দেন।
আরও পড়ুন: বাংলার শাড়িকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে আম্বানি গোষ্ঠী: মুখ্যমন্ত্রী
বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে হেলে যাওয়া বাড়ির মেরামতি করতে গিয়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। এরপর ট্যাংরা, রাজপুর সোনারপুর পুরসভা এলাকা, বেলেঘাটা, শিবপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি হেলে পড়ার খবর সামনে এসেছে। তবে এই বিষয়ে পুরমন্ত্রী তথা মেয়র জানিয়েছেন, হেলে পড়া বাড়ি মানেই বিপজ্জনক নয়। তদন্ত কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
দেখুন অন্য খবর: