ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় সভা থেকে ভুতুড়ে ভোটারের কথা জানিয়েছিলেন। বিজেপি (BJP) ও নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, একই এপিক নম্বরে ভিন রাজ্যের ভোটারও রয়েছে। ইতিমধ্যে ওই বিষয়ে চাপে পড়ে নির্বাচন কমিশন তা স্বীকার করে জানিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে সংশোধন করা হবে। সংসদে আলোচনার দাবি সহ এটা এখন জাতীয় রাজনীতির অন্যতম ইস্যুও। তারই মধ্যে এবার এক বিজেপি নেতার দুটি বিধানসভায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হল। তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে তৃণমূল কর্মীরা ভুতুড়ে ভোটার খুঁজতে রাজ্যজুড়ে কর্মসূচি করছেন। দুটো আলদা ভোটার কার্ডে একজন ভোটারের নাম খুঁজে পেলেন তৃণমূল কর্মীরা। বিজেপি (BJP) নেতা পরাগতরু মিত্রের নাম রয়েছে শ্রীরামপুর ও চাঁপদানি বিধানসভা এলাকায়। পরাগতরুর বাড়ি শ্রীরামপুর পুরসভার প্রভাসনগর এলাকায়। ২০২১ সালে তিনি চাঁপদানির বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সিংয়ের এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন। এই ঘটনায় ভোটার লিস্ট (Voter List) তৈরিতে বিজেপি যোগের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে তৃণমূল ময়দানে নেমেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে মৃত ভোটারের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে। তেমনি একই ব্যক্তির দুই জায়গায় নাম রয়েছে এমনও পাওয়া যাচ্ছে। ভুতুড়ে ভোটার নিয়ে গতকালই জাতীয় নির্বাচন কমিশনে যায় বিজেপি ও তৃণমূল দুই পক্ষ। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, যখন কোনও নতুন ভোটারের নাম তোলা, সংশোধন বা বাদ দেওয়া হয় সেই কাজ করে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকারের কর্মীরা তাতে নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু কাজটা করে নির্বাচন কমিশন। আমরা নির্ভুল, নির্ভেজাল ভোটার তালিকা চাই। তা সত্ত্বেও দেখা যায় একই ব্যাক্তির একাধিক এপিক কার্ড রয়েছে। এগুলো সংশোধনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিউআর কোড সম্বলিত এপিক কার্ড তৈরির দাবি রেখেছি আমরা। সেই কোডে সার্চ করলেই দেখা যাবে ওই ব্যাক্তির আর কোনও কার্ড আছে কি না। আমাদের কর্মীরা বুথ ধরে কাজ করছেন। ভুয়ো ভোটারের নাম থেকে থাকলে সেগুলো নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা জমা করব।
আরও পড়ুন: হাওড়ায় শিশু অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার মূল পাচারকারী মহিলা
তবে বিজেপির শ্রীরামপুর সংগঠনিক জেলার সম্পাদক ইন্দ্রনীল দত্ত বলেন, শুধু পরাগ তরুমিত্র নয় এরকম অনেকের নামে উঠে আসছে। পরাগ যেহেতু বিজেপি কার্যকর্তা তাই এটাকে নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। একই ব্যক্তির দু-তিন জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে। এই কাজ করেছে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। বাংলাদেশ থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নামও উঠেছে। তাঁদের নামও বাদ দিতে হবে আমরা দাবি করছি।
দেখুন অন্য খবর: