ওয়েব ডেস্ক: পুড়ছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলস (Los Angeles) শহর। হাওয়ার বেগে ছড়াচ্ছে আগুন। ৪০ হাজার একর জুড়ে ছড়িয়েছে দাবানল (Wild Fire)। ইতিমধ্যে ক্ষতি ছাড়িয়েছে ১৩ হাজার কোটির। মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। আবহাওয়ার পূর্বাভাস, সোমবার থেকে ১২০ কিমি বেগে বইবে বাতাস। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা। ইতিমধ্যে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) জানিয়েছেন, এটা যুদ্ধের দৃশ্য। বিষাক্ত ধোঁয়ায় ঢেকেছে এলাকা। স্বাস্থ্য পরিষেবায় জারি জরুরি অবস্থা। প্রমাদ গুণছেন দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়াবাসী (California) । লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টির শেরিফ রবার্ট এল লুনা বলেছেন, যেন মনে হচ্ছে পরমাণু বোমা ফেলা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার সব থেকে জনবহুল শহরে শুধু আতঙ্কের ছবি। আমেরিকার সঙ্গে কানাডা, মেক্সিকোও আগুন নিয়ন্ত্রণে বিমান সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এর আগে ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় দাবানলে মৃত্যুর সংখ্য়া বেশি হলেও সেখানকার বাসিন্দারা বলছেন, এই ভয়াবহতা নজিরবিহীন। লস অ্যাঞ্জেলসের মেয়র ক্যারেন ব্যাফ জানিয়েছেন, এর নজির নেই। এরকম আগে কোনও দিন দেখেননি। বিশেষ করে এখনও আগুনের সোর্স বা উৎস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মনে করা হচ্ছে, রুক্ষ, শুষ্ক আবহাওয়ায় দাবানল থেকেই এই অগ্নিকাণ্ড। প্রশান্ত মহাসাগেরর তীরবর্তী প্যালিসিডস এলাকায় মঙ্গলবার প্রথম দাবানলের আগুন দেখা যায়। বুধবার বিকেল থেকেই শুষ্ক ও ঝোড়ো হাওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পুড়ে ছাই বিলাসবহুল এলাকা। বিদ্যুৎহীন বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও নিস্তার মেলেনি। আরও অমঙ্গলের আশঙ্কায় আমেরিকাবাসী।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, প্যাসিফিক প্যালেসাডে ১৯ হাজার একর এলাকায় সব কিছু পুড়ে ছাই। আল্টাডেনায় আগুনের গ্রাসে ১৩ হাজার একর। এই দুই এলাকায় আগুনের গ্রাসে ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা গৃহহীন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাকা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডকে। প্যারিস হিল্টন, অ্যান্থনি হপকিন্স, বিলি ক্রিস্টালের মতো বহু হলিউড তারকার বাসভবন এখানে। ১ লক্ষ ৮০ হাজার বাসিন্দাকে উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন এলাকায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। প্যালিসিডস, আল্টাডেনা, প্যাসিডেনা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত তিন লক্ষ ঘর। প্রায় ১ লক্ষ বাসিন্দা ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের জলে চাপ, আগুন নিয়ন্ত্রণে কঠিন চ্যালেঞ্জ!
প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান সেখানে ত্রাণকাজে সাহায্য করেছেন। এগিয়ে এসেছেন হলিউড তারকারাও। অনেকেই এই ঘটনার পরে মেয়র ভিক্টর গর্ডোর পদত্যাগ দাবি করেছেন। এদিকে দেড় লক্ষ মানুষকে ঘর ছেড়ে সরে যেতে বলা হয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: