ওয়েব ডেস্ক: দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতিও (President) নির্বাচিত হন। রাজনীতিতে নেমে ভোটে জিতে আসা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেই। তবে রাজনীতির সঙ্গে রাষ্ট্রপতি পদের কোনও যোগাযোগ নেই, এই পদ সাম্মানিক, রাষ্ট্রপতি কোনওভাবেই রাজনীতির মধ্যে জড়ান না। এবার কি সেই সীমাও পেরল? বাজেট অধিবেশনের (Budget Session) সূচনায় সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (Droupadi Murmu) ভাষণ সম্পর্কে করা মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল। তাতে সংবাদমাধ্যমে কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যেভাবে রাষ্ট্রপতি ভবন প্রেস বিবৃতি (Press Release) দিয়েছে তাতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নরেন্দ্র মোদির সরকারের আমলে দেশের সংবাদমাধ্যম, বিচার বিভাগ সহ প্রতিটি স্তম্ভে হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এবার রাষ্ট্রপতি ভবনও সেই তালিকায় চলে এল কি না তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ সবাই জানেন রাষ্ট্রপতি যে ভাষণ দেন তা তৈরি করে দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাই।
প্রশ্ন উঠছে নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি ভবন কি ‘পুওর’ ও ‘পুওর থিংয়ের’ তফাত বোঝেন না? সম্ভবত এই প্রথম রাষ্ট্রপতি ভবন দলীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করল। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর হিন্দি বোঝার ক্ষমতা নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রেস বিবৃতিতে। পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে, নিশ্চয় প্রত্যাশা করা যায় না নরেন্দ্র মোদির ইংরেজিও চমৎকার? সংসদে যে বক্তব্য রাষ্ট্রপতি পেশ করেন তা সংসদের অন্দরেই সমালোচনা করা যায়। তাতে সংশোধনী দেওয়া যায়। রাষ্ট্রপতি, উপ রাষ্ট্রপতি, স্পিকার সাংবিধানিক পদাধিকারী। তাঁরা যা বলেন তা উপর থেকে আসে না। ভগবানের অবতার নয় তাঁরা।
আরও পড়ুন: নজরে বিধানসভা ভোট, বাজেটে বিহারের জন্য ঢালাও ঘোষণা
বাজেট অধিবেশনের শুরুতে সংসদের যৌথ অধিবেশনে শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বক্তব্যকে সংবাদমাধ্যমে ‘পুওর’ মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। তাকে শাহী পরিবারের ঔদ্ধত্য বলে নিন্দা করেন নরেন্দ্র মোদি। সেই ঘটনায় রাষ্ট্রপতিভবন থেকে শুক্রবারই প্রেস বিবৃতি দিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের মর্যাদা কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হল। বলা হয়, রাজনীতিতে রাষ্ট্রপতিকে টেনে আনা হয়েছে যাতে মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এবারের বাজেট অধিবেশনের শুরুর দিনে এই বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজধানী। কী বলা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রেস বিবৃতিতে? সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে কংগ্রেস পার্টির কিছু দায়িত্বশীল নেতা যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তাতে রাষ্ট্রপতি ভবনের মর্যাদাহানি হয়েছে। যা গ্রহণযোগ্য নয়। ওই নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রপতি শেষ পর্যন্ত খুব ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছেন, তিনি কদাচিৎ বলবার সময় পান। রাষ্ট্রপতিভবন বিশ্বাস করে ওই নেতারা ভারতীয় ভাষা বিশেষ করে হিন্দির মতো ভারতীয় ভাষার ভাব প্রয়োগ ঠিকমতো জানেন না। এর ফলে তাদের ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে। যে কোনও অবস্থাতে এই ধরনের মন্তব্য নিম্ন রুচির, দুর্ভাগ্যজনক ও বর্জনীয়।
দেখুন অন্য খবর: