ওয়েব ডেস্ক: একপদ মেনে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির (President of Westbengal BJP) ঘোষণা হবে। সেই লোকসভা ভোটের পর থেকে তা শোনা যাচ্ছে। তারপর সদস্য সংগ্রহে বারবার হোঁচট। ঘরোয়া কোন্দলের জেরে পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নামও এখনও ঘোষণা করতে পারেনি পদ্ম শিবির। দলীয় সংগঠনের নীচু স্তরে নির্বাচন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খেয়োখেয়িতে বন্ধ করতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। পুরনো নেতারা বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগে মেল পাঠিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda)। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikary) নিজের মতো চলছেন বলে বিজেপির অন্দরের খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি চেয়ে খুল্লম খুল্লা বর্তমান রাজ্য নেতৃত্বকে ধুয়ে দিচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। কারও হাতে কোনও রাশ নেই। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ বঙ্গ বিজেপি। এগিয়ে আসছে রাজ্যের বিধানসভা ভোট। রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কোথায় রাজ্যের প্রধান বিরোধী (Main Opposition) দল? মাঠে দেখা নেই পদ্মের।
রাজ্যে বিজেপির সবচেয়ে সফল কাণ্ডারী দিলীপ ঘোষের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে চাপান উতোর বেড়েছে। সায়ন্তনবাবু সোশ্যাল মিডিয়া টিমের নামে একটি পোস্টে তাৎপর্য়পূর্ণভাবে লেখা হয়েছে বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের কথাও। বিরোধীরা বিজেপির বিরুদ্ধে ইডি, সিবিআই দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ তোলে। কার্যত তাও স্বীকার করা হয়েছে বিজেপির ওই পোস্টে। সেখানে বলা হয়েছে, দিলীপ ঘোষ সাজানো বাগান পাননি। তিনি প্রতিদিন আক্রান্ত হয়েছেন। পাল্টা মেরে পুঁতে দেব বলেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বঙ্গ বিজেপি প্রাসঙ্গিক ও উত্থান। নরেন্দ্র মোদির হাওয়া তখনও ছিল এখনও আছে। কিন্তু জয় অধরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ক্ষমতায় আসতে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। দিলীপ ঘোষ ২০১৬ থেকে ২০২১ বঙ্গ বিজেপিকে দ্বিতীয় শক্তি করেছেন। তিনি শর্টকার্ট ইডি, সিবিআই দিয়ে জিততে চাননি।
আরও পড়ুন: রং বদলাচ্ছে ভাঙড়! ISF ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান কর্মীদের
দিলীপ ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতা রাজকমল পাঠক ভিডিয়ো বার্তায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাতে যোগ্য লোককে রাজ্য সভাপতি করার দাবি জানানো হয়েছে। তিনি বলছেন, রাজ্যে মণ্ডলস্তরে নির্বাচন নিয়ে অশান্তি বাড়ছে। যার জেরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তা বন্ধ করে দিয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসছে। অথচ আমরা এখনও বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবে তার নাম ঘোষণা করতে পারিনি।
রাজ্য বিজেপিকে দেখলে এখন অনেকে বলেন, এই হাল কেন? কেউ কোনও নিয়ম মানছেন না। যে যেভাবে পারছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন দলের নেতাদের বিরুদ্ধে । জেলায়-জেলায়, মণ্ডলে মণ্ডলে কর্মী বিক্ষোভ। সব মিলিয়ে ঘেঁটে ঘ রাজ্য বিজেপি। এগিয়ে আসছে ২০২৬ সালে আগামী বিধানসভা নির্বাচন। শিরে সংক্রান্তি। কিন্তু রাজ্যে প্রধান বিরোধী দলকে এসবের জেরে মাঠে ময়দানে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এককথায় নাজেহাল দশা বিজেপির।
দেখুন অন্য খবর: