ওয়েব ডেস্ক: গ্রিনল্যান্ডের পরে গাজা? ক্ষমতায় আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসে একের পর এক আগ্রাসী সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছেন। এবার ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আমেরিকা যোথ সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিম এশিয়া নিয়ে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন। ট্রাম্পের কথায়, প্যালেস্তানীয়দের গাজা ছেড়ে যেতেই হবে, বিকল্প নেই। আমরা গাজা ভূখণ্ড নিয়ে নেব ও তা পুনর্গঠন করব। এমন কাজ করব যাতে প্যালেস্তানীয়রা গাজাতে ফিরতেও না চায়। বুধবার আচমকাই এই ট্রাম্প কার্ডে চমকে গিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ড কেনার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। এবার ইজরায়েল-হামাসের ১৫ মাসের যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজায় নজর দিলেন। অবশ্য নির্বাচনী প্রচারে ও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও গাজা নিয়ে ইজরায়েলের পক্ষেই মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। হামাস, ইজরায়েলের বন্দিদের না ছাড়লে চরম পরিণতির হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। নথিহীন অভিবাসীদের খেদানো, শুল্ক যুদ্ধের সূচনা, এবার পশ্চিম এশিয়া নিয়ে নয়া নীতির ঘোষণা ট্রাম্পের। সবে ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নিয়েছেন তিনি। তারই মধ্যে একের পর এক ঝড় তুলে আন্তর্জাতিক মহলকে নাড়িয়ে দিচ্ছেন আমেরিকার এই নতুন প্রেসিডেন্ট।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চলাকালীনই, এদিন ট্রাম্পের ওই বক্তব্য। ট্রাম্প গাজা নিয়ে সেখানে উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের বার্তাও দিয়েছেন এদিন। তাঁর কথায়, আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাব। যা সেখানে অসংখ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বসবাসকারীদের জন্য বাসস্থান তৈরি করা হবে। তবে সেখানে জায়গা হবে না প্যালেস্তিনীয়দের। যাঁরা সেখানে বসবাস করছেন। তাঁদের অন্যদেশে পাঠানোর ইঙ্গিত এদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথায়। এদিন ট্রাম্প বলেন, মানবিক হৃদয় নিয়ে সেখানকার ২০ লক্ষ বসবাসকারীর অন্য দেশে যাওয়া উচিত। যাতে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আমেরিকার ইজরায়েলের সব থেকে ভালো বন্ধু প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর কথায়, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের গাজা পরিকল্পনা, ইতিহাস বদলে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশ ছাড়ার ৬ মাস পর দলের উদ্দেশে ভার্চুয়ালি ভাষণ দিতে চলেছেন শেখ হাসিনা
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব বা পরিকল্পনা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। আরব দুনিয়ার বড় অংশ এর বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছে। মিশর ও জর্ডন এই প্রস্তাব মানা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্যালেস্তাইনের রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বের উচিত প্যালেস্তিনীয়দের ইচ্ছাকে সম্মন দেওয়া। সৌদি আরবের মতো আমেরিকার বন্ধু রাষ্ট্রও এর বিরোধিতা করেছে।
দেখুন অন্য খবর: