ওয়েবডেস্ক: দিশেহারা বাবা মায়েরা। এখন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ছেলে মেয়েদের পড়ানোর প্রবণতা বাড়ছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত বা দুঃস্থ পরিবারগুলোর সেই সামর্থ্য থাকে না। সরকার পোষিত স্কুলেই তাদের একমাত্র ভরসা। আচমকা শুনেছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের (Teachers) চাকরি চলে গিয়েছে। ছেলে মেয়েগুলোর কী হবে? দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদেরও। তাদের মুখগুলো ফ্যাকাশে। পাড়া প্রতিবেশীর সান্ত্বনা ছাড়া আর কোনও জোর পাচ্ছে না তারা। গ্রাম বাংলা জুড়ে শিক্ষার সংকটের করুণ ছবি সর্বত্র। আকস্মিক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সেরকমই ভয়ঙ্কর ছবি বসিরহাট মহকুমায়। কার্যত বন্ধের মুখ একাধিক স্কুল। কলা বিভাগ। বাংলা ইংরেজি, ইতিহাস, ভূগোল পার্শ্ব শিক্ষকরা গোঁজা দিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করেন। স্কুল চালানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু, গণিত সহ বিজ্ঞান তো সবাই পড়াতে পারেন না। ফলে লাটে ওঠার অবস্থা বিদ্যালয়গুলোর (Schools)। সেরকমই বসিরহাট (Basirhat) মহকুমায় চাকরি হারিয়েছেন সাড়ে ৩৫০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। বিজ্ঞানের (Science) শিক্ষক যাওয়ায় পড়াশোনা লাঠে উঠেছে। বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন প্রান্তিক এলাকায় দুর্দশার চিত্র। উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায় বজায় রেখে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করেছে।
হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলে ১৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা। যার মধ্যে ৫ জন চাকরি হারিয়ে স্কুল থেকে চলে গিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে বিজ্ঞানের শিক্ষক শিক্ষিকা। মদনমোহন বিদ্যাপীঠে ছয় জন শিক্ষক চলে গিয়েছেন। বাদুড়িয়ায় যাত্রা ও এলএমএস হাইস্কুল, বসিরহাট টাউন হাইস্কুল ও সন্দেশখালির শেহারা, রাধানগর মিনাখাঁ, হাড়োয়া স্বরুপনগর সহ মোট দশটি ব্লকে এই ঘটনা। বিভিন্ন স্কুল থেকে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি হারা হয়েছেন। অন্যান্য শিক্ষকরাও এটা মেনে নিতে পারছেন না।। অন্যদিকে ছাত্রছাত্রীদের মনেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দ্রুত শিক্ষক শিক্ষিকা স্কুলে নিয়োগ না হলে বন্ধ করতে হবে পঠন পাঠন। ঘটনায় পড়াশুনোর কাঠামো ভেঙে পড়তে পারে। এমনই মনে করছেন ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবকরা। হিঙ্গলগঞ্জ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন ঘোষ বলেন, আমাদের স্কুলে ৬০৫ জন ছাত্র ছাত্রী। সেখানে ১৫ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন। এখন কোনও বিজ্ঞানের শিক্ষক শিক্ষিকা নেই। পাঁচজন টিচার চাকরি খুইয়েছেন।
আরও পড়ুন: চাকরিহারা ২৬০০০ ! মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কায় সেমেস্টার পদ্ধতি
দেখুন অন্য খবর: