ওয়েব ডেস্ক: সেই আমলে যখন পরাধীনতার শৃঙ্খল শরীর, মনকে নির্মমভাবে বেঁধে রেখেছিল। যোগাযোগ ব্যবস্থার এই বৈপ্লবিক উন্নতি কল্পনার বাইরেও ছিল। দেশের স্বাধীনতার জন্য পরাক্রমশালী ইংরেজদের (British) দেশ ছাড়া করতে চেখে ধুলো দিয়ে বিশ্বমঞ্চে হাজির হয়ে সওয়াল করেছেন। আফগানিস্তান, রাশিয়া, জাপান, জার্মানি, ইতালি। সব প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে ছুটে গিয়েছেন।-আশি বছর আগে দেশ খুইয়েছে সুভাষচন্দ্র বসুকে (Netaji Subhaschandra Bose)। তাইহোকুর বিমান দুর্ঘটনায় যে তাঁর মৃত্যু হয়নি তা নিয়ে একাধিক কমিশনে বক্তব্য উঠে এসেছে। তবে ঘটনাক্রমে তারপর থেকে সেভাবে তার গতিবিধি নিয়ে কোনও প্রামাণ্য দলিলও নেই। এখন ২০২৫ (2025) সাল। ভারতবাসীর জন্য যে স্বপ্ন নেতাজি দেখেছিলেন। স্বাধীনতার এতগুলো দশক পেরিয়ে গেলেও আমরা কি তার ধারেকাছে পৌঁছতে পেরেছি?
যে জরুরি প্রশ্ন এখনও সবার কাছে প্রশ্ন হিসেবেই থেকে গেল, তা হল নেতাজির মৃত্যু রহস্যের সমাধান আজও কেন হল না? আসলে পরিচালক শ্যাম বেনেগালের (Shyam Benegal) সিনেমার মতোই বলা যেতে পারে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস: দ্য ফরগটেন হিরো। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হয়েছেন শ্যাম বেনেগাল। এক ঝলক ফিরে দেখা, কী তুলে ধরা হয়েছিল তাঁর সিনেমায়।
আরও পড়ুন: মল মাস কাটুক, পৌষ পেরোলে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির ঘোষণা? শুভ লগ্নের আশায় নেতাদের একাংশ
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ওই সিনেমাতে দেখানো হয়, ব্রিটিশ ভারতে নেতাজির সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর মত বিরোধ। এরপর বোসের গ্রেফতারি। পরে মুক্তি পেয়ে আফগানিস্তান, সোভিয়েত ইউনিয়ন হয়ে জার্মানি যাত্রা। কখনও দাড়ি রেখে, কখনও পাঠান হয়ে, কখনও মূক-বধির সেজে, কিংবা কখনও ইতালির পাসপোর্ট নিয়ে রাশিয়া যাত্রা। মস্কো থেকে পৌঁছন রোমে। সেখান থেকে জার্মানি যাত্রা। পরে যান জাপানে। ১৬ জানুয়ারি ১৯৪১-ব্রিটিশের চোখে ধুলো দিয়ে ভাইপো শিশির বসুর সঙ্গে ছদ্মবেশে কলকাতা ছাড়েন। ২৩ অগাস্ট ১৯৪৫। রয়টার্স ঘোষণা করে নেতাজির মৃত্যু সংবাদ। লালকেল্লায় আইএনএ-র বিচার প্রক্রিয়ার দৃশ্য। নৌ বিদ্রোহ ও শেষে—-স্বাধীনতার পথ। সামনে ২৩ জানুয়ারি ২০২৫। সেই প্রশ্নটাই তাড়া করছে, কী হয়েছিল নেতাজির? তিনি কি কেবলই রহস্য, আজও?
দেখুন অন্য খবর: