ওয়েব ডেস্ক: প্রবীণ নাগরিকেরা (Senior Citizen) নিজের দেখভালে অপারগ না হলে সন্তানের থেকে খোরপোশ (Maintenance) পাবেন না। পর্যবেক্ষণ (Observation) ওড়িশা হাইকোর্টের (Orissa High Court)। আদালত জানিয়েছে, প্রবীণ নাগরিক বলে তাঁরা সন্তানের থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোরপোশ পেতেই থাকবেন। এমন বিধান নেই। নিজস্ব আয় বা সম্পত্তি থেকে হওয়া আয় থেকে তাঁরা জীবনধারণ করতে না পারলে তবেই এমন ব্যবস্থা কার্যকর হবে। ২০০৭ সালের মেইন্টেনেন্স এন্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস এন্ড সিনিয়র সিটিজেন্স আইনের ব্যাখ্যায় অভিমত বিচারপতি শশীকান্ত মিশ্রের।
পিতা পুত্রের বিরোধ থেকে ছেলের ওই আবেদন হাইকোর্টে। ৬৯ বছরের পিতাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে দেখভালে নারাজ পুত্র। এমনটাই অভিযোগ। তাতে মাসিক ৫০০০ টাকা খোরপোশ দাবি করে পিতার আবেদন রায়গড়ের মেইন্টেনেন্স ট্রাইব্যুনালে। বাড়ির দরজার চাবি বাবার হাতে ফেরত দিয়ে মাসে ৫০০০ টাকা পিতাকে দেওয়ার জন্য পুত্রকে নির্দেশ। প্রথমে সাব কালেক্টর আদালতে রায়গড়ের মেইন্টেন্যান্স ট্রাইবুনালে খোরপোশের দাবিতে মামলা করেন ওই বৃদ্ধ। তাতে ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। কালেক্টর বা অ্যাপিলেট অথরিটি তাতে হস্তক্ষেপ করেনি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিজের রোজগার থেকে জীবন যাপন করতে তিনি সক্ষম কি না, তা ট্রাইবুনাল বা কালেক্টর খতিয়ে দেখেননি। দ্বিতীয়ত পিতাকে দেখভাল করা হচ্ছে কি না তাও ট্রাইবুনাল খোঁজ করে দেখেনি। তৃতীয়ত আইন মাফিক খোরপোশের পরিমাণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। জীবনযাপনের খরচ তিনি টানতে পারছেন না। এই তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে সিনিয়র সিটিজেন খোরপোশ দাবি করতে পারেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল এই বিষয়টি খতিয়ে দেখেনি। দ্বিতীয়ত খোরপোশের পরিমাণ নির্ধারণ পদ্ধতিও অনুসরণ করা হয়নি। তাই ট্রাইবুনাল ও কালেক্টরের সিদ্ধান্ত খারিজ করে নতুন করে বিষয়টির বিচার করতে নির্দেশ ট্রাইব্যুনালকে।
আরও পড়ুন: পুলওয়ামার শহিদদের স্মরণ করে কী লিখলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?
দেখুন অন্য খবর: