ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) মতো পাকিস্তানেও (Pakistan) অর্থ সাহায্য বন্ধ হচ্ছে আমেরিকার (US)। এর ফলে কতটা সমস্যায় পড়বে পাকিস্তান? তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের (Evaluation) জন্য ইতিমধ্যে আমেরিকা মঙ্গলবারই ওই সহায়তা বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। ইউনাইটে়ড স্টেট এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের বিভিন্ন প্রকল্প আটকে যাবে এর ফলে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প মাঝপথেই থমকে যেতে চলেছে। যা পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। এমনিতেই পাকিস্তানের অর্থনীতির ভঙ্গুর দশা। পাকিস্তান আমেরিকা থেকে বড় অংশের অর্থ ও সামরিক সহযোগিতা পেয়ে এসেছে। আপাতত সেই রাস্তা বন্ধ। যা শেহবাজ শরিফের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াবে। তবে অনেকে মনে করছেন ট্রাম্প বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানের উপরও চাপ বাড়াল।
অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থগিত হওয়ার মধ্যে রয়েছে অ্যাম্বাসাডর ফান্ড ফর কালচারাল প্রিজার্ভেশন। পাকিস্তান প্রাইভেট সেক্টর এনার্জি অ্যাক্টিভিটি, এনার্জি সেক্টর অ্যাডভাইসরি সার্ভিস প্রজেক্ট, ক্লিন এনার্জি লোন পোর্টফোলিও গ্যারেন্টি প্রোগ্রাম, পাকিস্তান ক্লাইমেট ফিনান্সিং অ্যাক্টিভিটি। পাকভূমের স্বাস্থ্য, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, শিক্ষা, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সংস্কৃতির মতো বিষয়ও ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে সমস্যায় পড়বে।
আরও পড়ুন: কবে মার্কিন সফরে যাচ্ছেন মোদি? জানিয়ে দিলেন ট্রাম্প নিজেই
একটি হিসেব অনুযায়ী ২০১০ সালে আমেরিকার পাকিস্তানকে সাহায্য ছিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার। এখন তা আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। তবে এই বিষয়ে পাকিস্তান বুধবার রাত পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। পাকিস্তানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এই নিয়ে তাঁরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভও করেছেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সঙ্গে পাকিস্তানের নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। তার মধ্যে এই সাহায্য বন্ধ হয়ে যাওয়ার বড় সমস্যায় পড়তে চলেছে পাকিস্তান এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: