ওয়েব ডেস্ক: ট্যাংরায় (Tangra) একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যুর (Mystery Death) ঘটনার দ্রুত কিনারা করল কলকাতা পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা মনে করছেন, আত্মহত্যা করেছেন ওই তিনজন। পরিবারের বাকি তিনজন সদস্যও আত্মহত্যার (Sucide) চেষ্টা করেন। সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ইএম বাইপাসে কালিকাপুরের কাছে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজনের বয়ানও মিলিয়ে দেখা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীর থেকে বিষের নমুনাও পাওয়া গিয়েছে। খতিয়ে দেখা হয়েছে সিসিটিভি। আর্থিক অনটনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। অপেক্ষা করা হচ্ছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য। তা এলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। মৃতরা হলেন রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও প্রিয়ম্বদা দে (নাবালিকা)। আহতরা হলেন প্রণয় দে, প্রতীপ দে ও প্রসূন দে (নাবালক)।
কীভাবে হল ওই ঘটনা? পুলিশ সূত্রের দাবি, মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সবাই পায়েসে বিষ মিশিয়ে খান। তাতে নাবালিকার মৃত্যু হয়। ভয় পেয়ে দুই মহিলা হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নাবালক সহ পরিবারের দুই পুরুষ সদস্য গাড়ি নিয়ে রাত ১২টা ৫১ মিনিটে বাড়ি থেকে বেরোন। তারপরেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়িটি। তখন ভোর ৩ টে ৩০ মিনিট। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সেই তথ্য মিলেছে। গাড়ি অতিরিক্ত গতিতে ছুটছিল। ঘটনাস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কর্নাটকের পর কলকাতা, পরিবারের সদস্যদের মৃতদেহ, আর্থিক সমস্যা?
কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, শীঘ্রই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
দেখুন অন্য খবর: