ওয়েব ডেস্ক: এখানে প্রতি মুহূর্তে ব্যস্ততা দৌড়দড়ি করে। ঠিক যেভাবে ভারতবাসীর লাইফ লাইনের প্রতিটা স্টেশনে ওই ছবি দেখা যায়। দৈনন্দিন জীবন ধারণের জন্য ট্রেন ধরতে হয়। ট্রেনে ওঠা নামার সময় হুড়োহুড়ি। এখন তো কোটি কোটি মানুষের মহাযজ্ঞ সেখানে। অথচ তিনি বসে রয়েছেন একা। নিশ্চল। শান্ত। কোনও তাড়া নেই। তাঁর আগমনে স্টেশন চত্বরের জীবনও যেন মৃদু মধুর। গেরুয়া পোশাক। গালে পাকা দাড়ি। হাতে লম্বা গেরুয়া দণ্ড। একটি লম্বা লৌহপাতের উপর বসে। পায়ের নীচে কাঠের খরম। অপেক্ষা ট্রেন আসার। একেবারে সাধারণের মতো। কে বলবে তাঁর পরামর্শ নিয়ে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি পথ চলে। তাঁর কাছ থেকে বৈদিক অঙ্ক জেনে বর্তমান অর্থনীতির সঙ্কটমোচনের চেষ্টা করেন অনেক অর্থনীতিবিদ। অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, আইআইটিগুলির উন্নতিতে তিনি রূপরেখা দেন। তিনি পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী (Puri Shankaracharya Nischalanand Saraswati)। প্রয়াগরাজ রেলস্টেশনে (Prayagraj Railstation) ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় রত। মনে করা হচ্ছে, মহাকুম্ভ (Mahakumbh) থেকে ফেরার পালা। তাঁর এই ছবি ভাইরাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন এটাই সাধুর জীবন। সাধুরা কাজ করেন ধর্ম ও সমাজের জন্য। দেবতাকে উৎসর্গ করা জীবনের অঙ্কে সহজ সমাধানে সাধারণ থাকাই হয়তো তাঁর ফর্মুলা। শঙ্করাচার্যের ওই প্রতিকৃতি দেখে তাই রব উঠেছে সাধু, সাধু।
আরও পড়ুন: বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারি কেরল আদালতের
দেখুন অন্য খবর: