কলকাতা : ভোটের লড়াইয়ে হেরেছিলেন। এবার আইনি লড়াইয়েও হেরে গেলেন। বনগাঁ দক্ষিণের পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের ইলেকশন পিটিশন খারিজ হয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে। উল্টে বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও কিভাবে তিনি এদেশে ভোটের প্রার্থী হয়েছিলেন সেই প্রশ্নে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর চরম ভৎসনার মুখে পড়েন আলোরানি। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার আলোরানির দল তৃণমূলের উদ্দেশ্যেও কঠোর ভাষা ব্যবহার করে আদালত। যদিও আদালতের এই রায়ের পর ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন আলোরানি।
তৃণমূলের পরিচিত মুখ না হলেও আলোরানি সরকার ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে শাসক দলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিজেপির স্বপন মজুমদারের কাছে তিনি ২০০৪ ভোট হেরে যান। এরপরেই কমিশনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধেও দায়ের করেন ইলেকশন পিটিশন।
শুক্রবার বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। এদিনের শুনানিতে আদালতের রায় অনুযায়ী জানা যায়, আলোরানি সরকার আদতে একজন বাংলাদেশি নাগরিক। সে দেশের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাঁর। রয়েছে বাংলাদেশের পরিচয়পত্র। কিন্তু সে সব গোপন করে এদেশের ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, পাসপোর্ট ও আধার কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি জোগাড় ছাড়াও এ রাজ্যে ভূমিজ সম্পত্তি করলেন এদিন সেই প্রশ্নও তোলে আদালত। একই সঙ্গে আলোরানি ছাড়াও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশেও কঠোর ভাষা ব্যবহার করে আদালত। প্রশ্নও ওঠে কীভাবে একজন বাংলাদেশী নাগরিককে তৃণমূল প্রার্থী করল।
আরও পড়ুন- Paresh Adhikary: মন্ত্রী বলেই মেয়ের চাকরি? পরেশকে ম্যারাথন জেরা সিবিআইয়ের