কলকাতা: এ মাসের প্রথম দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এ বার পুজো শুরু এক মাস আগেই। সে দিন শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, ঢাকের তালে ধুনুচি নাচ— এক মাস আগেই পুজো শুরু হয়ে গিয়েছিল বাংলায়। সে দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সূচনা করে মমতা বলেছিলেন, ‘‘আজ থেকেই আমাদের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল। সমস্ত ধর্ম, বর্ণকে নিয়ে এগিয়ে চলব আমরা। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। সারা বিশ্বকে ধন্যবাদ।’’ সে দিন যেখানে শেষ করেছিলেন আজ, বৃহস্পতির বিকেলে যেন সেখান থেকেই শুরু হল। এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এক দিকে কলকাতায় পুজো শুরু হয়ে গেল, তেমনই আড়াই বছর পর নতুন রূপে খুলল টালা সেতু।
এ দিন বিকেল ৪.৪৯। রিমোট টিপে নবরূপে টালা সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজোর আগে যা নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন দেবে উত্তর থেকে দক্ষিণমুখী সড়ক যাতায়াতে। পুজোর আগে টালা সেতু খুলে যাওয়ার ফলে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উত্তর কলকাতা ও উত্তরের শহরতলিতে যাওয়ার পথে টালা সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে নতুন এই সেতুটি তৈরি হওয়ায় তা আগের তুলনায় অনেক বেশি মজবুত হয়েছে।
সেতু উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন শ্রীভূমি, সল্টলেক এফডি ব্লক এবং টালা প্রত্যয়ের দুর্গাপুজোর উদ্বোধনও করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, বিধায়ক সুজিত বসুর শ্রীভূমির পুজোর কারণে সংলগ্ন এলাকায় বিপুল যানজট তৈরি হয়। এমনকি, গত বছর তাদের তৈরি বুর্জ খলিফার ‘লেজার শো’ নিয়ে আপত্তি এসেছিল বিমানবন্দর থেকে। পরে অষ্টমী থেকে এই পুজোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। সেই কথা মনে করিয়ে সুজিত বসুকে উদ্বোধনের দিনই সতর্ক করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হলে তিনি কঠোর পদক্ষেপ করতেই পিছপা হবে না বলেও বুঝিয়ে দেন মমতা।