কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই সিবিআই তদন্তে উঠে আসে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুক্রবারও এর অন্যথা হয়নি। আজ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে গ্রুপ ডি নিয়োগ (Group D Recruitment) মামলার শুনানি ছিল। মামলার শুনানি শুরু হলে আদালতে এই গ্রুপ ডি নিয়োগ নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনে সিবিআই (CBI)।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার তরফে দাবি করা হয় গ্রুপ ডি নিয়োগে সুপারিশের সংখ্যার ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই কারচুপি হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, সিবিআইয়ের জানায় গ্রুপ ডি নিয়োগে আরও ১২৭টি ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিট (blank OMR sheet) পাওয়া গিয়েছে। এই ধরনের ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটের সংখ্যা ২২৭টি।
আরও পড়ুন: Omr sheet: ওএমআর শিট প্রকাশ করার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট
আগামী সপ্তাহের মধ্যে তাদের দাবি অনুযায়ী সিবিআইকে ওই ১২৭টি ব্ল্যঙ্ক ওএমআর শিট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের। এর পাশাপাশি এই গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় এবার ইডিকেও যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে গ্রুপ ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে সুপারিশের সংখ্যায় যেমন গরমিল রয়েছে তেমনই ব্ল্যাঙ্ক ওএমআর শিটের যে সংখ্যা আদালতকে জানানো হয় তাতেও বিস্তর গন্ডগোল দেখা গিয়েছে। এই নিয়ে কমিশনের তরফে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখ রয়েছে, ১৯১১ জনকে গ্রুপ ডি নিয়োগে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১৬৯০ জনের নাম প্যানেলে ছিল। সেগুলির মধ্যে ১২৫ জনের ওএমআর শিট পুরো ব্ল্যাঙ্ক। তবে সিবিআইয়ের দাবি, ৪৪৮৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ২৮২৩ জনের সুপারিশে কারচুপি হয়েছে। আর এই কারচুপি ৫০ শতাংশেরও বেশি বলে এদিন আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।
এর পাশাপাশি গ্রুপ ডি-র কত শূন্যপদ আছে, কতজন কে সুপারিশ করা হয়েছে, ওএমআর শিটে কারচুপি সহ এখনও পর্যন্ত মোট কতজন চাকরি পেয়েছে তা নিয়ে কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই সব কিছুই আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাবে কমিশন।