কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এখনই ভোট রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাবে না সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)। এই মুহূর্তে ভোট (Election) রাজনীতিতে তারা অংশও নেবে না। কলকাতায় (Kolkata) দলের জাতীয় কর্মসমতির বৈঠকে শনিবার এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্যে তারা সংগঠন বাড়ানোর কাজ চালিয়ে যাবে। দল মনে করছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বিধানসভা ভোটে যেভাবে বিরোধী ভোট কাটাকাটি হয়েছে তাতে আদৌতে লাভ হয়েছে বিজেপিরই। বৈঠকে স্থির হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে যাতে উত্তরপ্রদেশের পুনরাবৃত্তি না হয় সে ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন ঘিরে যতদিন না জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে ততদিন দেশ জুড়ে দল সংগঠন বিস্তারের কাজ চালিয়ে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার থেকে কলকাতার মৌলালি যুবকেন্দ্রে শুরু হয়েছে সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক। অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে জয়া বচ্চন, শিবপাল যাদব, কিরণময় নন্দের মতো তাবড় শীর্ষনেতারা উপস্থিত রয়েছেন বৈঠকে। প্রথমদিনই দলের প্রধান অখিলেশ পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক স্তরে যোগাযোগ রেখে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কথা বলেছিলেন। মমতার মতো অখিলেশও মনে করেন, বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি যে যেখানে শক্তিশালী, সেখানে তাদের সামনে রেখেই বিজেপি বিরোধী জোট গড়ে ওঠা উচিত। শুক্রবার কালীঘাটে তৃণমূলের শীর্ষ বৈঠকেও এই বিষয়টিকে সামনে রেখে আলোচনা হয়েছে। দলনেত্রী পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল লোকসভা ভোটে একাই লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। বৈঠকের পর তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠকে চড়া সুরে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, বিজেপি রাহুল গান্ধীকেই লোকসভা ভোটে প্রধান বিরোধী মুখ হিসেবে দেখতে চায়। তাতে বিজেপির সুবিধা হবে। সুদীপের অভিযোগ, কংগ্রেস বিজেপির সি টিম হিসেবে কাজ করছে।
আরও পড়ুন:Cold Storage | সম্ভলে হিমঘরের ছাদ ধসে নিহত ১৪, দুই মালিক গ্রেফতার উত্তরাখণ্ড থেকে
কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন ৬৮ জন আলচনায় অংশ নেন। পরে অখিলেশ, রামগোপাল যাদব এবং জয়া বচ্চন ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে দলের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা করেন। উত্তরপ্রদেশের বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে যেসব আসনে দলের জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির নেতৃত্বকে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা প্রস্তুত হওয়ার পরই দলীয় স্তরে প্রচারে নেমে পড়তেও বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। উত্তওপ্রদেশের নেতা শিবপাল যাদব অভিযোগ করেন, বহুজন সমাজ পার্টি ওই রাজ্যে তলায় তলায় বিজেপিকে সাহায্য করছে। তিনি বলেন, মায়াবতীর দলের বিরুদ্ধেও রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে গত বছর সমাজবাদী পার্টি কার্যত একাই লড়াই করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে।
শেয়ার করুন