বহরমপুর: সাগরদিঘির (Sagardighi) ফলে উজ্জীবিত কংগ্রেস (Congress)। দলছুট নেতা কর্মীদের ঘরে ফেরার ডাক দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhirranjan Chowdhury)। শনিবারই তিনি বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) কংগ্রেসের ঘাঁটি। তৃণমূল (TMC) এখানে আগন্তুক। তৃণমূল কংগ্রেসের বাড়া ভাত খেয়েছে। অনেকেরই তৃণমূলে মোহভঙ্গ হয়েছে। তাঁরা কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। তিনি কংগ্রেসে ফেরার আহ্বান জানান। এদিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেস ফিরলেন পঞ্চায়েত (Panchayat) সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সহ একাধিক স্থানীয় নেতৃত্ব। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদে ভাঙ্গন ধরল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে। শনিবার বিকালে খড়গ্রাম ব্লকের নগর পীরতলা মাঠে অধীর চৌধুরির হাত ধরে শাসক দলের একাধিক নেতৃত্ব সহ জনপ্রতিনিধিরা যোগদান করলেন জাতীয় কংগ্রেসে। এদিন কংগ্রেসে যোগ দিলেন খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আবুল হাসনাৎ। যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কিষাণ ক্ষেতমজুর সেলের ব্লক সভাপতি মুর্শেদ সেখ, এড়োয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, একাধিক নেতৃত্ব সহ কয়েক'শ কর্মী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে এই যোগদানে উজ্জীবিত স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব।
সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে বাম কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। সাধারণত উপ নির্বাচনে জয়ী হয় শাসকদল। সেই ট্রেন্ডকে ভেঙে দিয়েছে সাগরদিঘি। এই কেন্দ্রে এর আগে তিন বার জয় পেয়েছিলেন তৃণমূলের সুব্রত সাহা। তিনি ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয় পেয়েছিলেন। সেই জায়গায় কংগ্রেস প্রার্থী ২৩ হাজার ভোটে জয় পেয়েছেন। এই আসনটিতে ৬৮ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। ফলে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ক তৃণমূলের থেকে সরে এল কি না সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার উপরে রাজ্যে সাম্প্রতিক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের পর এই প্রথম নির্বাচন হল। সেদিক দিয়ে এই জয় তৃণমূলের কাছে চিন্তার কারণ বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। বিশেষ করে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।
আরও পড়ুন: Covid-19 | দেশে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৮০০ ছাড়াল
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই জেলায় জেলা পরিষদ ছিল কংগ্রেসের। পরবর্তীতে তা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। অনেক পঞ্চায়েত দখল করে নেয় তৃণমূল। তাঁদের অনেকেই কংগ্রেসে ফিরতে চাইছেন। এখন দেখার অধীর চৌধুরী ডাক দেওয়ার পর বিধায়ক, সাংসদরা কেউ কংগ্রেসে ফেরে কি না। উল্লেখ্য, তৃণমূলের বৈঠকে দলনেত্রী মুর্শিদাবাদের দুজন সাংসদ অধীর চৌধুরীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছিল বলে অভিযোগ করেন। তার পরের দিনই পুরনো কংগ্রেসীদের ঘরে ফেরার ডাক দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
শেয়ার করুন