দুর্গাপুর: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে লকআপে মারধর ও হেনস্তার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের এ-জোন ফাঁড়ির পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে। পরীক্ষার্থীর পরিবারের জানিয়েছে, শনিবার সকালে অঙ্ক পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল তাঁদের ছেলে। আচমকাই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। কোনও কথা না বলেই কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার ও পুলিশকর্মী ওই পরীক্ষার্থীকে বাড়িতেই মারধর করতে শুরু করে। এরপর তাকে প্রিজন ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ, থানায় নিয়ে যাওয়ার পরও পড়ুয়াকে মারধর করা হয়েছে। এরপর বেশ কয়েক ঘণ্টা তাকে লকআপে রাখা হয়। পরে ৩০০ টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।
প্রসঙ্গত, বাড়ির জানালা তৈরি করা নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে ঝামেলা চলছে ওই পড়ুয়ার পরিবারের। গন্ডগোলের পর ওই পড়ুয়ার বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলাও করেন প্রতিবেশী সমীর বর্মন। সেই মামলার সূত্র ধরেই বাড়িতে পুলিশ এসেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। এদিন যখন পুলিশ বাড়িতে আসে, তখন তার বাবা-মা কেউই বাড়িতে ছিলেন না। খুব সহজেই পরীক্ষার্থীকে মারতে মারতে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ প্রতিবেশীদের। তাঁরা বাধা দিলেও কোনও লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন : Amritpal Singh | পুলিশের হাতে আটক অমৃতপাল সিং, ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ পাঞ্জাবে
বাড়িতে ফিরে ছেলেকে না দেখতে পেয়ে পাড়ায় খুঁজতে বেরন ওই পরীক্ষার্থীর বাবা-মা। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, পুলিশ তাঁদের ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তড়িঘড়ি থানায় পৌঁছন দম্পতি। কী কারণে ছেলেকে মারধর করেছে পুলিশ, তা জানতে চান তাঁরা। কেনই বা ফাঁকা বাড়ি থেকে তাঁদের ছেলেকে তুলে আনা হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ, তাঁদের কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেয়নি বলে অভিযোগ দম্পতির। ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নামে সেই ভাবে কোনও অভিযোগ না থাকায় তাকে ব্যক্তিগত জামিনে থানা থেকেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছে পড়ুয়া। পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলে আত্মহত্যারও চেষ্টা করতে গিয়েছিল। দুর্গাপুর মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পরীক্ষার্থীর পরিবার। মহকুমা শাসক ঘটনার যথাযত তদন্ত হবে বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেন। এই ঘটনার বিষয়ে পুলিসের তরফে বিবৃতিও দাবি করেছেন পড়ুয়ার বাবা-মা।
শেয়ার করুন