কলকাতা: এক বন্দির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নিউটাউনের শুলুংগুড়ি এলাকা। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার অভিযোগ তুলে লাল্টু মুন্সি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগের শিকার হন অশোক হালদার। দমদম সংশোধনাগারে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
পাওনা টাকা চাইতে গেলে টাকা আদায়কারী অশোক হালদারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় অশোক হালদারকে। বিষয়টিতে জ্যাংড়া হাতিয়ারা দু'নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দিকেও অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। জেল হেফাজতে থাকাকালীন অশোক হালদারের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শনিবার উত্তেজনা ছড়ায় নিউটাউন থানার অন্তর্গত শুলুংগুড়ি কলোনি পাড়ায়। সশুলুংগুড়ি স্কুলের সামনের রাস্তায় মৃতদেহ রেখে রাস্তা অবরোধ করা হয়। অভিযোগ, মিথ্যে সাক্ষী দিয়েছিল লালটু মুন্সি। সেই অভিযোগ তুলে লালটু মুন্সির বাড়ি ভাঙচুর করে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মৃত অশোক হালদার তাঁর বন্ধু বাবলু হাজরার সঙ্গে পাওনা টাকা আদায়ের জন্য যান ওই এলাকারই এক কাঠ ব্যবসায়ী কাছে। এবং এরপরে ওই কাঠ ব্যবসায়ী শংকরলাল জোশি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। এবং হাসপাতালে বসেই জবানবন্দি দেয় যে ওই দুই ব্যক্তি তাকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিউ টাউন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। অভিযোগের ভিত্তিতে নিউটাউন থানার পুলিশ অশোক হালদারকে গ্রেফতার করে। বারাসাত আদালতে তোলা হলে বিচারক অশোক হালদারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। গতকাল দমদম সংশোধনাগারে অশোক হালদার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় আরজিকর হাসপাতালে। সেখানে অশোক হালদারের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, জামিনে মুক্তি পাওয়ার আগেই কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে শুলুংগুড়ি কলোনি পাড়া এলাকায়।অভিযোগ, মিথ্যে মামলাকারী ওই ব্যবসায়ী শংকরলাল জোশি পলাতক। গোটা ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনায় নিউটাউন থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শেয়ার করুন