কলকাতা: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) কনভয়ে হামলার ঘটনায় ধৃত ২৩ বিজেপি কর্মী আদালতের রক্ষাকবচ পেলন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Justice Raja Sekhar Mantha) নির্দেশ, যতদিন না পর্যন্ত এ ব্যাপারে জনস্বার্থ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের রায় বেরোচ্ছে ততদিন পুলিশ (Police) তাদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। তাঁর আরও নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে তারা দিনহাটা মহকুমার বাইরে বেরোতে পারবে না। ২৯ মার্চ পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ জারি থাকবে।মামলার পরবর্তী শুনানি ৩০ মার্চ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে দিনহাটার (Dinhata) বাসন্তী এলাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জনসংযোগ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্দুমার ঘটে। ওই একই সময়ে তৃণমূলেরও কর্মসূচি ছিল। শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা কালো পতাকা নিয়ে মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পরে দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। অভিযোগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে বোমা পড়ে এবং সংঘর্ষের সময় গুলিও চলে। তৃণমূলের পালটা দাবি, মন্ত্রীর কনভয় থেকে হামলা চালানো হয়। বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা লোহার রড, বাঁশ নিয়ে হামলা চালয়। তৃণমূল সমর্থকদের বেশ কয়েকটি বাইক ভাংচুর করা হয়। ওই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দীর্ঘক্ষণ এলাকা উত্তপ্ত ছিল। পরে মন্ত্রী অভিযোগ করেন, তৃণমূল পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে। কোচবিহারে আইনশৃঙ্খলা বলতে কিছু অবশিষ্ট নেই। তাঁর কর্মসূচির কথা আগাম জানা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ নিরাপত্তার ব্যাপারে গাছাড়া মনোভাব দেখিয়েছে।দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের পালটা অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে থাকা গুন্ডা বাহিনী হামলা ছালিয়েছেন। তিনি বলেন ওই দিন কী ঘটেছে, তা দিনহাটার মানুষ দেখেছে। তৃণমূল নেতার আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দিনের পর দিন দিনহাটাকে অশান্ত করে রেখেছেন।বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা চালাল তৃণমূল, অথচ পুলিশ গ্রেফতার করল বিজেপি কর্মীদের।
আরও পড়ুন : Anubrata Mondal | দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছল অনুব্রতর জামিনের আবেদনের শুনানি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপর হামলার ঘটনার কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, এধরনের ঘটনা ঘটলে রাজ্যপাল নীরব দর্শক হয়ে থাকবেন না। ওই হামলার ঘটনায় রাজ্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা নবান্নকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানোরও নির্দেশ দিয়েছিল রাজভবন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে। রাজভবনের এই ভূমিকাকে অবশ্য ভালো চোখে দেখেনি নবান্ন্যা