কলকাতা: স্বাধীন দেশে প্রথম নোটবাতিল হয় ১৯৭৮ সালে। ১৯৪৬ সালের মতোই এবারও এক হাজার বা তার উচ্চমূল্যের নোট বাতিল করা হয়। তবে এই নোটবন্দির সূচনা হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। ১৯৭০ সালে দেশের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি কৈলাশ ওয়াঞ্চুর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল।
ওয়াঞ্চু কমিটি
এই কমিটিকে প্রত্যক্ষ কর বিষয়ে সুপারিশ করতে বলা হয়। রিপোর্টে ওয়াঞ্চু কমিটি কালো টাকার বিপদ সম্পর্কেও আলোচনা করে। কমিটি কালো টাকা দূর করতে নোটবাতিলের প্রস্তাব দিয়েছিল।
নোটবাতিলের সুপারিশটি ফাইলবন্দি হয়ে থাকে। ১৯৭৫-৭৬ সালের অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থার ধাক্কায় ১৯৭৭ সালে লোকসভা ভোটে পরাজিত হন ইন্দিরা গান্ধী। পর্যুদস্ত হয় কংগ্রেসও। কয়েকটি দল মিশে গিয়ে জনতা পার্টি গড়ে ওঠে, তারাই ক্ষমতায় বসে ১৯৭৭ সালের মার্চে। প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই। ইন্দিরার বিরুদ্ধে নানা মামলা শুরু হয়, ১৯৭৭-র শেষ দিকে গ্রেপ্তারও হন তিনি। এর ক’দিন পরে ১৯৭৮ সালের জানুয়ারিতে ঘটে নোটবন্দির বড়সড় ঘটনা।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi | ট্রাকে চেপে চণ্ডীগড়ে রাহুল গান্ধী, শুনলেন চালদের ‘মনের কথা’
বাতিল হল উচ্চমূল্যের নোট
১৬ জানুয়ারি ১৯৭৮ নোটবন্দির বিজ্ঞপ্তি বেরোয়। বিজ্ঞপ্তির নাম ছিল হাই ডিনোমিনেশন ব্যাঙ্ক নোটস (ডিমনিটাইজেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৮। এই বিজ্ঞপ্তি বলে ১ হাজার, ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকার নোট বাতিল করা হয়।
এর সাড়ে তিন দশক পরে ২০১৪ সালের ২২ জানুয়ারি আরেকটি ছোটখাট নোটবাতিল হয়। ২০০৫ সালের আগে ছাপা সব নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এটা কয়েক মাস ধরে চলেছিল, তেমন কোনও সমস্যা হয়নি।