Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeকলকাতাSuvendu Adhikari | সুদীপ্ত সেনের চিঠির সিবিআই তদন্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari | সুদীপ্ত সেনের চিঠির সিবিআই তদন্তকে স্বাগত শুভেন্দুর

Follow Us :

কলকাতা: জেলবন্দি সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠি প্রসঙ্গে আদালতের সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বলেন, ওই চিঠি নিয়ে আমিই তো সিবিআই তদন্ত চেয়েছিলাম আগে। আদালত তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় আমি খুশি। ওই চিঠি কীভাবে লেখানো হয়েছিল সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে, সব জানা যাবে। সাড়ে তিন বছর জেলখাটা ব্যক্তিটিকে মজা দেখাব এবার। 

২০২০ সালে জেলবন্দি সুদীপ্ত সেনের একটি চিঠি প্রকাশ্যে আসে। তাতে তিনি অভিযোগ করেন, কাঁথি পুরসভা তাঁর কাছ থেকে ড্রাফট এবং নগদে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। আরও অভিযোগ, সেই সময় টাকা দিতে তাঁকে চাপ দেন শুভেন্দু। সুদীপ্তর ওই চিঠির ভিত্তিতে কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বহুদিন ধরে তিনি এ ব্যাপারে সরব। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের অনেক নেতাই এ ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন। বুধবার কুণালের আইনজীবী সিএমএম আদালতে ওই চিঠির ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে বলে জানান কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। 

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee | সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতির বিপুল সুযোগ

এদিন তা নিয়েই নাম না করে কুণালকে বেঁধেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, আমি ওর নাম নিতে চাই না। ভালোই হয়েছে। আদালত যদি ওই চিঠির ব্যাপারে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে থাকে, আমি তাকে স্বাগত জানাই। কে এই চিঠির পিছনে রয়েছে, সব প্রকাশ্যে আসবে। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীর এ ব্যাপারে কী ভূমিকা ছিল, সব জানা যাবে। তাঁর ইঙ্গিত ছিল কুণালের দিকেই। 

এদিনই শুভেন্দুর কালীঘাটের কাকুর গ্রেফতারি নিয়েও মুখ খোলেন। তিনি বলেন, অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন ওই কাকু। তাছাড়া অভিষেকের বাবা, মা এবং স্ত্রীও ডিরেক্টর ছিলেন। এই ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে বহু বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সব আত্মীয়ই বেআইনি কারবারে যুক্ত। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়রা নিয়োগের নামে টাকা তুলে বেহালায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পাঠাতেন। সেই টাকা সুজয়ের মাধ্যমে কালীঘাটে পৌঁছত। সিবিআই তদন্ত কোমর পর্যন্ত পৌঁছেছে। আরও এক ধাপ বাকি। কান পর্যন্ত এসেছে। এরপর মাথা। কেউ রেহাই পাবে না।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments