কলকাতা: জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে হাইকোর্ট (Kolkata High Court) কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। বিএসএফের (BSF) নিয়মই চূড়ান্ত জানিয়ে দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। নাদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ এলাকার পূটিখালি গ্রাম ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা। ওই এলাকার একটি বিরাট জলাশয় আছে। ওই জলাশয়ে সমবায়ের মাধ্যমে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন পূটিখালি গ্রামের বাসিন্দারা। ২০২০ সালে ওই গ্রামের পুটিখালি মৎস্য সমবায় সমিতি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়।
পুটিখালি মৎস্য সমবায় সমিতির আইনজীবীর দাবি মাছ ধরার সময় ভোর ৩টে থেকে ৪ টের মধ্যে। কারণ সকালে বাজারে টাটকা মাছের সঠিক দাম পাওয়া যায়। কিন্তু সন্ধ্যা ৬ টার পর বিএসএফ নোমেন্সল্যান্ডে ঢুকতে দেয় না।ফলে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে মৎস্যজীবীরা। সিংলবেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ২০২০ সালে নির্দেশ দেন, বি এস এফের সাথে আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় পুটিখালি মৎস্য সমবায় সমিতি।
মামলার শুনানি চলাকালীন বিএসএফের আইনজীবী পুলকেশ বাজপেয়ীর দাবি, জাতীয় নিরাপত্তার নিয়মানুযায়ী এই সমস্ত সীমান্ত এলাকায় বৈধ পারাপারের সময়সীমা সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা। সূর্যাস্তের পর দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এবং অবৈধ পারাপার ঠেকাতেই এই নিয়ম। মৎস্যজিবীদের সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্য্যন্ত ওই জলাশয় যেতে অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- SSC-Calcutta HC: ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসির উপদেষ্টা
দুইপক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালত জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করবে না। তাই মৎস্য সমবায় সমিতির আবেদন খারিজ করা হল। নির্দেশের পরেও সমবায় সমিতির আইনজীবী বারংবার ভোর ৩ টে থেকে ৫ টা পর্য্যন্ত অনুমোদনের আবেদন জানালেও খারিজ করে হাইকোর্ট।