কলকাতা: তৃণমূলে যোগ দিলেন রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। বুধবার তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নিলেন তিনি। অক্টোবরের শুরুতে সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তিনি বিজেপি ছেড়েছিলেন৷
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেন কৃষ্ণ৷তিনি বলেন, ‘বিজেপিতে ভাল কাজের সুযোগ নেই, আছে ষড়যন্ত্র৷ কাজ করার সুযোগ দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যে ভাবে প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন তা দেখেই আমি তৃণমূলে সামিল হয়েছি।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যাবাদ জানিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী আরও বলেন, ‘বিজেপি দিন দিন তেল-দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে৷ অন্য দিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে৷ তিনি সবুজ সাথী, কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল যোগ দিলাম।’
এ দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন কৃষ্ণ ৷ বলেন, ‘শুভেন্দু সনাতন ধর্মের কথা বলছেন ৷ সেই ধর্ম আমি বহু দিন থেকে মেনে চলেছি ৷ এটা কারও কাছ থেকে শিখতে হবে না।’ এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘ভালো কাজ করার পরেও গত মাসের ২৯ তারিখে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দল ছেড়েছিলাম। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। নিজের ভুল শুধরে নিলাম।’
এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা বিজেপির। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাফাই, তাঁর সঙ্গে দলের যোগাযোগ ছিল না। তিনি ব্যবসায়ী। ব্যবসা করতে এসেছেন। উনি জানেন ব্যবসা করতে গেলে কী করতে হয়।