কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার ফল ভুগতে হচ্ছে রাজ্যকে। মমায়ানমার থেকে অবৈধভাবে আসা যে সব ব্যক্তির সাজার মেয়াদ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে, তাদের সেফহোমগুলি বর্তমানে কী অবস্থা রয়েছে, জানতে চাইল হাইকোর্ট।কারা দফতরকে ২২ জুনের মধ্যে হাইকোর্টের কাছে এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে। না হলে কারা দফতরের ডিজিকে ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিতে হবে আদালতে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চের।
২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি মায়ানমার থেকে একটি সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে আসেন ফতেমা বেগম।বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করে সামসি থানার পুলিস। আদালতের বিচারে তাঁর তিন বছরের জেল হয়। ২০১৯ সালে ফাতেমা শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়। আইনানুযায়ী কোনও দোষীর শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তাঁকে আর আটকে রাখা যায় না। ফতেমা বেগমের স্বামী বনি আমিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।একটি হেবিয়াস কর্পাস মামলা দায়ের করেন। আবেদনকারীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে শাস্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তাঁর স্ত্রীকে এখনও দমদম জেলে দেখে দেওয়া হয়েছে।
আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসিনতার কারণেই এমন কাণ্ড ঘটেছে। বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের সাজা শেষে নিজের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। তবে মায়ানমারের সঙ্গে ভারত সরকারের এ বিষয়ে কোনও চুক্তি নেই। এই কারণেই অভিযুক্তদের জেল থেকে ছাড়া যাচ্ছে না।
রাজ্যের আইনজীবী আরও জানান, ফতেমার স্বামী কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন।সেখানে তাঁর স্বামীর নাম ছিল আব্দুল সালাম। তাঁর প্রকৃত স্বামী কে, এ ব্যাপারেও ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত ছাড়া যাচ্ছে না। শুনানি শেষে বিচারপতির নির্দেশ, ২২ জুন রাজ্যকেপরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।
আরও পড়ুন Pervez Musharraf: অকেজো একাধিক প্রত্যঙ্গ, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন মোশারফ, জানাল পরিবার