কলকাতা: স্বারম্ভরে আলিপুর চিড়িয়াখানার সার্ধ শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান পালিত হল। উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, চিড়িয়াখানা অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। দুটি নতুন প্রবেশদ্বারের উদ্বোধন করেন ফিরহাদ হাকিম।
১৮৭৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানা পথ চলা শুরু করেছিল। দেখতে দেখতে সার্ধ শতবর্ষে পদার্পণ করল ঐতিহ্যবাহী চিড়িয়াখানাটি। সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান করল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যেখানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। চিড়িয়াখানার নতুন দুটি প্রবেশদ্বারের উদ্বোধন করেন ফিরহাদ হাকিম। ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে এই চিড়িয়াখানা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার ফলে তাঁকে অনুষ্ঠানটিতে পাঠিয়েছেন বলে জানান ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বভাস, ভিজবে কোন কোন জেলা?
বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানান, তিনি জঙ্গলের মেয়ে। ছোটবেলা থেকে বন জঙ্গল দেখেই বড় হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও তাকে বন দফতরের দায়িত্ব দেওয়ায় কৃতজ্ঞ। মন্ত্রী হিসাবে অবুঝ পশু পাখি গুলোর জন্য, চিড়িয়াখানার জন্য কিছু করতে পেরে তিনি খুশি। মানুষকেও এগিয়ে এসে বন জঙ্গল বাঁচানোর আহ্বান জানান তিনি।
আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত জানান চিড়িয়াখানায় এই মুহূর্তে দু হাজারেরও বেশি পশু পাখি রয়েছে। এই পশুপাখি গুলি আরো ভালো ভাবে থাকতে পারে মানুষ এগিয়ে এসে তাদের দত্তক নিলে। তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে পশু পাখিদের দত্তক নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
আলিপুর চিড়িয়াখানাতে নন্দনকানন থেকে টাপির ও মাউস ডিয়ার আনা হয়েছে। মাউস ডিয়ার গুলিকে বনমন্ত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দত্তক নিয়েছেন। স্বার্থ শতবর্ষে নতুন রূপে সেজে উঠেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা।