কলকাতা: আসন্ন ঘূর্ণিঝড় দানা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠক বসতে চলেছে কেন্দ্র। সোমবার কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রভাব নিয়ে কেন্দ্রের জাতীয় বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট কমিটি এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ বৈঠক ডেকেছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে সেই বৈঠকে যোগ দিতে বলে ভার্চুয়ালি।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যের তরফে কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেবে কেন্দ্র। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এ রাজ্যে পড়তে পারে। তার প্রস্তুতি নিয়েই এই বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র। এ রাজ্যের পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশার মুখ্যসচিবকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে ওই ভার্চুয়ালি বৈঠকে।
আরও পড়ুন: কালীপুজোর মুখে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা
উল্লেখ্য, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। কালীপুজোর মুখে বাংলা-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় দানা। রবিবার আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ সেটি ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে পৌঁছে যাবে। তারপর ঠিক কখন ও কোন এলাকা দিয়ে ঝড়টি উপকূল অতিক্রম করবে, তা নির্দিষ্টভাবে এখনই কিছু জানা যায়নি। দানা-র উপকূলে আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার হতে পারে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশে দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে গিয়েছে। সুন্দরবন উপকূলে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে।
সুন্দরবন উপকূল থানাগুলির পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। মৎস্যজীবীদেরও সতর্ক করা হয়েছে। সোমবার সন্ধের মধ্যে সব মৎস্যজীবীদের ট্রলারগুলিকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। বুধবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। প্রয়োজনে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদস্থানে সরানো হবে। ব্লক অফিস গুলোতে শুকনো খাবার, তার্পোলিন, পানীয় জলের পাউচ মজুত রাখা হচ্ছে। জেলা, মহকুমা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। বিপর্যয় মোকাবিলার সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগের সরকারি কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: