কলকাতা: বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের (Lalan Seikh) মৃত্যু রহস্যের তদন্তে আরও সময় চাইল সিট (SIT)। সোমবার আদালতে সিআইডির (CID)বিশেষ তদন্তকারী দলের তরফে জানানো হয়, তদন্ত শেষ করতে তাদের আরও এক মাস সময় লাগবে। এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিআইডির ডিআইজিকে ওই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই তদন্তে তখন খুশি হয়নি আদালত। হাইকোর্ট তদন্তের জন্য সিট গঠন করে দেয়। এদিন আরও সময় চেয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর সিটকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এদিন সিট এ পর্যন্ত তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে আদালতে জমা দেয়।
সিআইডির অভিযোগ, সিবিআই এই তদন্তের ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা করছে না। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, আদালত যেন সিবিআই অফিসারদের তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। আদালতের বক্তব্য, সিবিআই সহযোগিতা করছে না, সিআইডির রিপোর্টে এমন কোনও অভিযোগের উল্লেখ নেই।
আরও পড়ুন: বেআইনি কাঠ চেরাই কারখানার বন্ধের নির্দেশ আদালতের
প্রসঙ্গত, বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখকে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর আদালতে তোলা হলে তাকে ৬ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীনই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় লালনের। গত ১২ ডিসেম্বর রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচালয়ে লালনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। লালনের পরিবারের অভিযোগ ছিল, হেফাজতে থাকাকালীন সিবিআই অফিসারদের অত্যাচারেই তাঁর মৃত্যু হয়। লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি সেই সময় দাবি করেন, সিবিআই তাঁর স্বামীকে খুন করেছে। সেই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। রেশমা সাত সিবিআই অফিসারের নাম করে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই আদালত সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। লালনের স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, সিবিআই অফিসাররা মামলা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য ৫০ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন। এমনকী বাড়ি থেকে হার্ড ডিস্কও চাওয়া হয়েছিল। যদিও লালন শেখের স্ত্রীর যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সিবিআই। তাদের দাবি ছিল, লালন আত্মহত্যাই করেছে।