কলকাতা: রাজ্যের পুরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক প্রবল ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বিশেষ করে জমি জবরদখল এবং পুর পরিষেবা নিয়ে বিরক্ত তিনি। নবান্নে (Nabanna) সোমবার তিনি বলেন, পরিষেবা না পেলে পুরসভার দরকার কী? একের পর এক বেআইনি বাড়ি তৈরি হচ্ছে, বাংলার ছবি বদলে দিচ্ছে। জনপ্রতিনিধি থেকে পুলিশ-আমলা অনেকেই যুক্ত, সবার নাম প্রকাশ্যে বলে অপমান করতে চাই না। পুরসভাগুলোর জঘন্য পারফরম্যান্স। কেন তৈরি করা হয়েছিল, জানি না। সবাই বলে, আলাদা পুরসভা করে দিন, কী লাভ, যদি জনতা পরিষেবা না পায়।
এদিন আলাদা করে হাওড়া মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের (Howrah Municipal Corporation) প্রতি তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রথীন (হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী) যখন ছিল, তখন হাওড়ার ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার জায়গা নেই। প্ল্যান পাশ করতে গেলে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা তো এটা অনলাইন করে দিয়েছি। হাওড়ায় জঞ্জালের ভ্যাট নিয়মিত পরিষ্কার হয় না। রাস্তায় ময়লা চলে আসে। হাওড়ায় কনজারভেশন সিস্টেম নেই। অথচ আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি।
আরও পড়ুন: দোষীরা জেলে যাবেই, নিট, নেটের প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে দাবি সুকান্তর
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রথীন চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, আপনার দলের নেতা-মন্ত্রীরাই তো গোটা রাজ্যেরই ১২টা বাজিয়ে দিয়েছেন। একা হাওড়া পুরসভার দোষ কী?
এদিকে মমতা আরও বলেন, নিজেরা ইচ্ছেমতো টেন্ডার করছেন, সেখান থেকে নিজেরা টাকা খাচ্ছেন। কেউ খাচ্ছেন, কেউ খাচ্ছেন না। নিশ্চয়ই দিয়েটিয়ে খাচ্ছেন। একটা গ্যাং তৈরি হয়ে গিয়েছে। একথাগুলো আমাকে বলতে হচ্ছে, আমি দুঃখিত।
হুঁশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, হাওড়া পুলিশকে (Howrah Police) তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি। চিফ সেক্রেটারিকে নির্দেশ দিচ্ছি, রাম-শ্যাম-যদু-মধু যেই হোক, ইভেন আমি হলেও ছাড়বেন না। আমি জানতে চাই, কে দখল করেছে, কারা আছে এর পিছনে, কারা গ্যাং তৈরি করেছে। আমি সব জানতে চাই। সরকারি সম্পত্তি কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। লোভ বেড়ে যাচ্ছে, লোভটা কমাতে হবে।
দেখুন খবর: