করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাঁজ কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের। গত বছর করোনা সংক্রমণের জেরে প্রতিমা শিল্পীরা সমস্যায় পড়েছিলেন। অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাই পুজোর বাজেটে কাটছাঁট করেছিলেন। এর প্রভাব পড়েছিল শিল্পীদের পকেটেও। করোনা পরিস্থিতিতে এ বছরও তার পুনরাবৃত্তি ঠেকানো যাবে না বলে মনে করছেন মৃৎশিল্পীরা। জুন মাসের শেষেও প্রতিমার বায়না নিয়ে কোনও উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না পুজো উদ্যোক্তাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন : তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ১ লক্ষ করোনা যোদ্ধাকে প্রশিক্ষণ
এই পরিস্থিতিতে ভিনদেশে ফাইবার গ্লাসের তৈরি প্রতিমা পাঠিয়ে কিছুটা ক্ষতি সামাল দিতে চেষ্টা করছেন শিল্পীদের একাংশ। ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। এমনকি কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, ইতালি থেকে প্রতিমার অর্ডার দিয়েছেন প্রবাসী বাঙালিরা। সাধারণত ৬ ফুটের তৈরি ফাইবার গ্লাসের প্রতিমাগুলিকে কাঠের বাক্সে প্যাকিং করে পাঠানো হচ্ছে। পরিবহণের সুবিধার্থে বিশেষ মোড়কে তা প্যাকিং করা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী জাহাজে পাঠাতে শুরু করেছেন কয়েকজন শিল্পী। গত বছরের তুলনায় বিদেশ থেকে অর্ডার কিছুটা বেড়েছে, এই আশাতেই নতুন করে আরও বেশ কিছু ফাইবার গ্লাসের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সংস্কৃতি সমিতির সম্পাদক বাবু পাল। গত বছরের তুলনায় এ বছরে পরিস্থিতি যথেষ্টই হতাশাজনক। অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তাই করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় বড় বাজেটের পুজোর ঝুঁকি নিতে নারাজ। করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক সঙ্কটে ছোট আকারের প্রতিমা দিয়ে পুজোর চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।