কলকাতা : বাঘাযতীন (Baghajatin) থেকে শুরু করে হালতুত, প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত জনসাধারণ। ক্লাব ভাঙচুরের প্রতিবাদ করায় দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করা হল।ঘটনার জেরে এলাকা জুরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন।মারধরের জেরে প্রতিবাদী দম্পতির চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
শনিবার রাতে একটি অনুষ্ঠান সেরে বাড়ি ফিরছিলেন এক দম্পতি। তখনই তাঁরা দেখতে পান কসবা থানার হালতুতে (Haltut) ক্লাব ভাঙচুর করা হচ্ছে। যেই ক্লাব ভাঙচুর করা হচ্ছে সেখানে কালীপুজো (Kalipuja) অনুষ্ঠিত হয়। এমনকি ক্লাবের কালীপুজো (Kalipuja) উদ্বোধন করেছিলেন ১০৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ (Sushanta Ghosh)। আর সেই কারণেই নাকি এলাকার বাসিন্দাদের উপর লিপিকা মান্নার (Lipika Manna) অনুগামীদের রাগ ছিল।
আরও পড়ুন: রাজভবনে অনুষ্ঠিত হল ভাইফোঁটা , বাংলার ‘বোন’দের রক্ষার অঙ্গীকার রাজ্যপালের
চোখের সামনে পাড়ার ক্লাব ভাঙচুর হতে দেখায় প্রতিবাদ করেন ওই দম্পতি। ক্লাব ভাঙচুরে বাধা দেওয়ায় লিপিকা মান্না অনুগামীদের সাথে প্রথমে কথা কাটাকটি হয়, তারপর শুরু হয় বচসা। হাতাহাতিতে গড়ায় পরিস্থিতি।
ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই দম্পতি। প্রতিবাদী দম্পতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আরও কয়েক জন। তারাও বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও চরাও হয় তৃণমূল কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার অনুগামীরা। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন।
আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, ‘আমার স্বামী ওদের গিয়ে শুধু জিজ্ঞেস করেছিল কেন ক্লাব ভাঙচুর করছে! কোনও উত্তর না দিয়ে আমার স্বামীর উপরে চড়াও হয় তারা। মারধর করা হয়। চোখ দুটো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। আমারও আঘাত লেগেছে এক চোখে।’
গোটা ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন আহত দম্পতি। তাদের দাবি, গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে পুলিশে, তবুও পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় শনিবার রাতে বাঘাযতীনের ক্লাবেও তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, ৫০ জনেরও বেশি দুষ্কৃতী ক্লাবে লাঠি ও রড নিয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুরে বাধা দিতে গেলে ক্লাব সদস্যদের মারধর করা হয়।ঘটনায় কয়েকজন ক্লাব সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দেখুন অন্য খবর: