কলকাতা: জালিয়াতি বা ভুল তথ্য পেশের অভিযোগ না থাকলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে দিয়ে ফেলা অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়া যাবে না জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)।
২০২৭ সালের ৩০ জুন প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেবেন আবেদনকারী। দশম শ্রেণীর হাই স্কুল থেকে ২০০২ সালের ১ জুলাই বিদ্যালয়টি দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হয়। সেই সূত্রে আবেদনকারীর বেতন বৃদ্ধি অনুমোদন করেন অতিরিক্ত জেলা স্কুল পরিদর্শক।
রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের (State School Education Department) ডিরেক্টর অফ অ্যাকাউন্টের জারি করা সরকারি মেমো অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি হয়। বেসিক ভাতার উপর তিন শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং অতিরিক্ত গ্রেড পে হিসেবে দুশো টাকা করে তিনি সেই সূত্রে অবসর নেওয়া পর্যন্ত পেয়ে এসেছেন।
আরও পড়ুন: রেপো রেট অপরিবর্তিত, কমছে না সুদের হার, জানাল আরবিআই
কিন্তু অবসরের পর জেলার স্কুল পরিদর্শকের দাবি যে, ২০০৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির পর কোনও বিদ্যালয় দ্বাদশ শ্রেণীতে উন্নীত হলে সেখানকার প্রধান শিক্ষককে ইনক্রিমেন্ট বরাদ্দ করা যায় না। এই যুক্তিতে আবেদনকারীর অবসরকালীন পাওনা অর্থ আটকে দেওয়া হয়। পরে দেওয়া বাড়তি অর্থ ফেরত চাওয়া হয়।
২০২১ সালের ২২ জুন হাইকোর্টের একক বিচারপতির আবেদনকারীর পক্ষে রায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার আবেদনে জানায় রায় বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের ডিভিশন বেঞ্চের। কিন্তু রাজ্যের আবেদন খারিজ করে একক বেঞ্চের রায় বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট।
দেখুন অন্য খবর: