কলকাতা: সোমবার পুরসভার নিম্নমানের কাজ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে এদিন বিজেপি একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, গরু পাচার, কয়লা ও বালি পাচারে টাকা নেয় বিজেপি। পুলিশের মাধ্যেমে এই টাকা তুলছে বিজেপি। এতে বাংলার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। যারা বাংলার সর্বনাশ করছে, তাদের আমি ছাড়ব না। আমি টাকা তোলার মাস্টার চাইছি না, জনসেবক চাইছি।
সোমবার নাম করে রাজ্যে প্রায় সব পুরসভাকে ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তাঘাট, নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল সরববরাহ, মিউটেশন, বাড়ির নকশা অনুমোদন-সহ সব কিছু নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেন। তিনি ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বলেছেন, আশা করি, এই সময়ের মধ্যে আমি কিছু ফল পাব। সরকারের অনুমতি না নিয়ে কোনও কাজ করা যাবে না বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মমতার কাছে কত নম্বর পেল আপনার পুরসভা? দেখে নিন তালিকা
তিনি বলেন, যখন তখন পুরসভায় ক্যাজুয়াল স্টাফ নেওয়া হচ্ছে। ফুটপাত দখল হয়ে যাচ্ছে, পুলিশের চোখে পড়ে না। মানুষ উন্নয়ন না পেলে সেই পুরসভা-পঞ্চায়েত রেখে লাভ কী? জমি জবরদখল নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের জমি বেঁচে দিচ্ছে। কোথাও জবরদখল হলে কেন পদক্ষেপ করা হচ্ছে না? রাজারহাটে সুজিত বসু লোক বসাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, বিধাননগর কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা কোনও কাজ করে না। তিনি বলেন, পুরসভাগুলি নিজেদের ইচ্ছেমতো লোক নিয়েছে। অনুমতি না নিয়ে ট্যাক্স বাড়িয়ে দিচ্ছে। কোনও পুরসভা কোনও কাজ করে না। রাস্তাঘাট পরিষ্কার হয় না, ড্রেন সাফাই হয় না, যে যার মতো বহুতল বাড়ির অনুমোদন দিয়ে টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। এক শ্রেণির পুলিশ অফিসার, আমলাও টাকা খাচ্ছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ দেখেও দেখে না। হাত গুটিয়ে বসে থাকে। কোথাও এমএলএ, কোথাও কাউন্সিলর টাকা খাচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে বাংলার সংস্কৃতি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। এরপর তো শহরে বাংলায় কথা বলার মতো লোক থাকবে না।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: