কলকাতা: এবার এক মেয়েকে উত্যক্ত করার অভিযোগ উঠল আরজি কর- কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। কাশীপুরের এক মহিলার অভিযোগ, অভিযুক্ত ওই সঞ্জয় তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত করত। সঞ্জয়ের মোবাইল সূত্র ধরে তাঁর মেয়েকে লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারি আধিকারিকেরা। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে আলাপ। পুলিশ পরিচয় দিয়ে ফোনে হুমকি ও ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে।
এদিকে এবার আরজি করের অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে তলব করল পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে লালবাজারে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, এই অ্যাসিসট্যান্ট সুপারই প্রথম নিহত চিকিৎসকদের বাড়িতে ফোন করে বলেছিলেন আত্মহত্যা করেছেন। এবার তাঁকেই তলব লালবাজারের।
অন্যদিকে আগামী রবিবারের মধ্যে পুলিশ যদি কিনারা করতে না পারে তাহলে সিবিআইকে তদন্তাভার দেওয়া হবে, বলে জানিয়েছেন মখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সোমবার আরজি করে নিহত চিকিৎসকের বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন নিহত চিকিৎসকের বাবা-মায়ের সঙ্গে। সেখান থেকে বেরিয়ে এমনই জানান মমতা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব রহস্যের কিনারা করতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আমরা ফাঁসির আবেদন জানাব। রবিবারের মধ্যে পুলিশ যদি কিনারা করতে না পারে তাহলে সিবিআইকে তদন্তাভার দেওয়া হবে। তবে সিবিআইয়ের সাফল্যের হার কম। তবু মানুষের সন্তুষ্টির জন্য সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেব।
আরও পড়ুন: আরজি করের অ্যাসিট্যান্ট সুপারকে তলব লালবাজারের
আগেই আরজি করের ঘটনায় অপরাধীর ফাঁসির শাস্তি চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, তাঁর মনে হচ্ছে, তিনি নিজেরই পরিবারের কাউকে হারিয়েছেন। পরে ফোনে কথা বলেছিলেন নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গেও।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: